নির্বাচন কমিশন সরকারের নিয়ন্ত্রণে এবং দেশে যেসব নির্বাচন হচ্ছে তাতে জনগণের আগ্রহ নেই। আসন্ন সবগুলো সিটি করপোরেশন নির্বাচনও নীল নকশার নির্বাচন হবে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। এই যে মেয়র ইলেকশন হচ্ছে, বেশির ভাগ সিটি করপোরেশনে বিরোধী দল কোনো প্রার্থী দিচ্ছে না। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম প্রধানের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জাগপার একাংশ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবির প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন হতে হবে। এই দাবিতে সব জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছিলো তখন আজকের আওয়ামী লীগ অনেকগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেসব তো পূরণ করেইনি বরং সেখান থেকে দূরে সরে গেছে। তারা দুটি ভুয়া নির্বাচন করেছে। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে কোনো ভোটার ভোট দিতে যাইনি। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দেও নিশিরাতে ভোট করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদেরকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ করতে হবে। না হলে কোনো কিছুই থাকবে না। এই হলো আওয়ামী লীগ। যারা বাকশাল করেছিলো।