শেরপুর সদরের মধ্য খুনুয়া গ্রামের হলু মিয়ার ছেলে উজ্জ্বল হোসেনকে (৪০) হত্যা করে দূর্বৃত্তরা তার আয়ের একমাত্র সম্বল ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি নিয়ে গেছে। এতে অসহায় হয়ে পড়েছেন তার রেখে যাওয়া ৬ মেয়ে, ১ ছেলে, বৃদ্ধা মা ও স্ত্রীসহ ৯ জন। দিশেহারা এ পরিবারের পাশে দাঁড়ালো বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, শেরপুর জেলা।
শেরপুর জেলা মানবাধিকার কমিশনের নেতৃবৃন্দ গত সোমবার, দুপুরে দুই বস্তা চাল, মশুরডাল, আলু, তেল, লবণ, পেঁয়াজ ও নগদ অর্থ নিয়ে নিহত উজ্জলের খুনুয়া মধ্যপাড়ার বাড়িতে হাজির হন। এসময় ওই বাড়িতে অসহায় পরিবাটির সদস্যদের কান্নার রোল পড়ে। তারা নিহত উজ্জল হোসেনের খুনিদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করেন। পরে মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে ওই পরিবারের সদস্যদের হাতেসহায়তা তুলে দেয়া হয়। এসময় মানবাধিকার কমিশনের শেরপুর জেলার সভাপতি ও শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: মেরাজ উদ্দিন, নির্বাহী সভাপতি ও শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলা, মানবাধিকার কমিশনের অপর নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাংবাদিক জুবায়ের আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি মো: মেরাজ উদ্দিন বলেন, আমরা সবসময় এ অসহায় পরিবারের সাথে আছি। আইনি সহযোগিতাসহ সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করবো। একই সাথে আমরা এ জঘন্যতম হত্যাকান্ডের সাথে যারাই জড়িত তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আমরা জানি আমাদের শেরপুরে দক্ষ পুলিশ সুপার রয়েছেন। তার নেতৃত্বে এ ঘটনার আসল দোষি ব্যক্তিদের খুজে বের করতে সক্ষম হবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
উল্লেখ্য, ২৮ এপ্রিল রাতে ভীমগঞ্জ বাজারে সবজি ও গোলআলু কিনতে এসে আর বাড়ি ফিরে যায়নি উজ্জল হোসেন। পরদিন ২৯ এপ্রিল ভীমগঞ্জ-জামালপুর সড়কের পাশে একটি ধান ক্ষেতে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দূর্বৃত্তদের হাতে নিহত হওয়ার আগে সে ৫ মেয়ে ও ১ ছেলে রেখে যান। তার নিহত হওয়ার পরদিনই তার স্ত্রীর গর্ভ থেকে আর এক মেয়ে সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। ফলে ওই শিশু নিয়ে তার ৬ মেয়ে, ১ ছেলে, স্ত্রী ও তার বৃদ্ধা মাসহ ৯ সদস্যের এ দরিদ্র পরিবারটি দিশেহারা হয়ে পড়েছে ।