ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ , ১৪ চৈত্র ১৪৩০ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

৫০ কিমি খাল পেরিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্র

শিক্ষা

আমাদের বার্তা, রাঙামাটি 

প্রকাশিত: ০০:০০, ৩ মে ২০২৩

আপডেট: ১৪:২৮, ৩ মে ২০২৩

সর্বশেষ

৫০ কিমি খাল পেরিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্র

রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার দুর্গম এলাকায় ৩ নম্বর ফারুয়া ইউনিয়ন। গত ৩০ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষা এই ইউনিয়নের ফারুয়া উচ্চবিদ্যালয়ের মোট ৭৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ৫০ কিলোমিটার দূরে নৌপথে রাইংখ্যং খাল পাড়ি দিয়ে তাদের আসতে হয় উপজেলার সদরের বিলাইছড়ি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে।
শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই লেক এবং রাইংখ্যং নদীর পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সদরে আসতে তিন ঘণ্টার পরিবর্তে এখন ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টার মতো সময় লাগে। ফলে একসময় বাধ্য হয়েই উপজেলা সদরে এসে পরীক্ষার্থীদের কাউকে আত্মীয়ের বাড়ি, আবার কাউকে মাসব্যাপী হোটেল ভাড়া নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে হতো। তবে এবার বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান পরীক্ষার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করেছেন। গত সোমবার বিলাইছড়ি উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি ভবনের সামনে প্রধান শিক্ষক শান্তিময় তঞ্চঙ্গ্যার সঙ্গে কথা হলে তিনি এসব তথ্য জানান। 
এ সময় তাঁকে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে দেখা যায়। জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘মেয়েদের জন্য উপজেলা নীলাদ্রি রিসোর্টে এবং ছেলেদের জন্য উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি ভবনে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’ 
শান্তিময় তঞ্চঙ্গ্যা জানান, এ বছর শুষ্ক মৌসুমে রাইংখ্যং নদী প্রায় পুরোপুরি শুকিয়ে গেছে, ফলে এই এলাকার-শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য বিলাইছড়ি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে পৌঁছাতে দুর্গম পথ পাড়ি দিতে হয়েছে।
ফারুয়া ইউনিয়ন থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসার গল্প তুলে ধরে প্রধান শিক্ষক আরও জানান, পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য গত ২৮ এপ্রিল ফারুয়া থেকে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা রওনা দেন। ২৮ এপ্রিল ভোর সাড়ে চারটায় তাদের নৌকা ফারুয়া থেকে রওনা হয়। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে রয়েছে তাদের বই, জামাকাপড় ও প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী।
দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘যদি ফারুয়ায় এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র থাকত তাহলে এত দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। তাই অতিসত্বর ফারুয়ায় এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র চালু করা খুবই জরুরি। এটা ফারুয়া অভিভাবকদের প্রাণের দাবি।’

জনপ্রিয়