নেত্রকোণার কলমাকান্দা সীমান্ত দিয়ে দিনে-রাতে অবাধে শত শত বস্তা ভারতীয় চিনি আসছে। অবৈধপথে সীমান্ত পার হয়ে আসার সাথে সাথে দেশীয় ব্যান্ডের বিভিন্ন কোম্পানির মোড়কের বস্তায় ভরা হচ্ছে চিনি। পরে প্রথমে মোটরসাইকেল, পরে পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারতীয় চিনি পৌঁছে দিচ্ছে চোরাকারবারিরা। এতে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এ কাজে কিছু অসাধু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত রয়েছে। তাদের সহযোগিতায় গড়ে ওঠেছে চোরাচালানি সিন্ডিকেট। তবে মাঝে মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কিছু ভারতীয় চিনি জব্দ করলেও চোরাকারবারিরা থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এদিকে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চোরাইপথে বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন প্রায় ১২শ বস্তা (৬০ হাজার কেজি) চিনি কলমাকান্দায় ঢুকছে। ৫০ কেজির প্রতি বস্তায় লেবারসহ ওপার থেকে সীমান্তে পৌঁছাতে খরচ হয় প্রায় ৩৮শ’ টাকা। সেখান থেকে কলমাকান্দা ও নাজিরপুর বাজার হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জেলার ডিবির ওসি (পূর্ব) মো. সাইদুর রহমান ও কলমাকান্দা থানার ওসি আবুল কালাম দুজনের সাথে কথা হলে তারা কোনো কিছুই জানেন না বলে জানান।
এ বিষয়ে নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশিদ (প্রশাসন ও অর্থ) বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি কারো সম্পৃক্ততা থাকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তছাড়া পুলিশ নিয়মিত চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে এবং পণ্য জব্দসহ চোরাচালানীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দেওয়া হচ্ছে।