নওগাঁর মান্দায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে সময় মতো স্কুলে না আসা এবং স্কুলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকৃত শিক্ষকের নাম সেলিম মর্তুজা প্রামাণিক। তিনি উপজেলার কালিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে সময় মতো ক্লাসে উপস্থিত না থাকা ছাড়াও বিদ্যালয়ের টিন ও আম বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ছিলো। এ নিয়ে ৭ দিনের ব্যবধানে উপজেলায় দু’জন শিক্ষক বরখাস্ত হলেন। গত মঙ্গলবার ওই শিক্ষককে বরখাস্তের আদেশ পাওয়ার বিষয়টি দৈনিক আমাদের বার্তাকে নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলে খোদা।
এদিকে বরখাস্তকৃত শিক্ষক সেলিম মোরতুজা তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত টিন ও আম বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষে সঙ্গে আমি কখনো অসদাচরণ করিনি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) ফজলে খোদা ও একজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আঁতাত করে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাশার শামসুজ্জামান। আমি বিশ্বাস করিসঠিকভাবে তদন্ত করা হলে প্রকৃত সত্য পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে কালিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলে খোদা বলেন, সহকারী শিক্ষক সেলিম মোরতুজার আচার-আচরণ ভাল নয়। তিনি বিদ্যালয়ের অনেক টাকা আত্মসাৎ করেন। বিদ্যালয়ে সঠিক সময়ে আসা-যাওয়া করেন না। এসব বিষয়ে তদন্ত হয়েছে। এরপর বিধিগত প্রক্রিয়ায় তাকে বরখাস্ত করেছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাশার শামসুজ্জামান বলেন, শিক্ষক সেলিম মোরতুজার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তে সত্যতা মিলেছে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার পর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।