কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ১০-১২টি গ্রামের ঘরে ঘরে দুধ উৎপাদন হচ্ছে। ওসব গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ গরু পালন, দুধ বিক্রি ও শ্রমিকের কাজ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। শুধুমাত্র ছিলোনিয়া গ্রামেই দু’শতাধিক পরিবার দুধ উৎপাদন করেন। গ্রামটি দুধের গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এছাড়াও গজারিয়া, হাফানিয়া, পদুয়া. মাতাইনকোট, দোসারি চৌ, জামমুড়া, শাসনমুড়া, আটিটি, বাটোরা গ্রামে সকাল-বিকাল দুধ সংগ্রহ ও বিক্রির উৎসব বসে। যেন গ্রামের ঘরে ঘরে দুধের নহর বইছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছিলোনিয়া গ্রামে আবদুল আজিজ এক যুগ আগে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে দুধ উৎপাদন শুরু করেন। ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বাণিজ্যিকভাবে দুধ উৎপাদন শুরু করেন। আর ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে ব্যাংক থেকে সহযোগিতা নিয়ে তিনি বড় ফার্ম গড়ে তোলেন। তার খামারে দুধের গাভী, মোটাতাজাকরণ করা গরু, বাছুরসহ বর্তমানে ৩শটি গরু আছে। পুঁজি রয়েছে ১০ কোটি টাকারও বেশি। তিনি গরুর খাবারের জন্য কয়েক একর জমিতে ঘাস চাষ করেছেন। তার খামারে কাজ করছেন গ্রামের ১৮ জন মানুষ। তার দেখাদেখি ওই গ্রামে এখন শতাধিক গরুর খামার গড়ে উঠেছে। ৬টি পয়েন্টে ওসব খামারের দুধ সংগ্রহ করা হয়। তারপর সেগুলো বিভিন্ন বাজারে মিষ্টি ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারি ব্যবসায়ীরা পাঠিয়ে দেন। প্রতিকেজি দুধ ৫৫ টাকায় সংগ্রহ করা হয়।
এদিকে পাইকারি দুধ ক্রেতারা প্রতিদিন সকালে ছিলোনিয়া গ্রামে দুধ কিনে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা যোগে দুধ নিয়ে হাইওয়ের বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট বিক্রি করেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, কুমিল্লার বুড়িচং, সদর দক্ষিণ ও লালমাইতে বেশি দুধ উৎপাদন হয়। লালমাইয়ের ছিলোনিয়া গ্রামে অনেকগুলো দুধের খামার রয়েছে। তাদের বিভিন্ন সময় আমরা পরামর্শ দিয়ে থাকি। দিন দিন সেখানকার খামারিরা ভালো করছে। দুধ সংরক্ষণের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি সহসা একটি ভালো খবর পাবো।