ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ , ৯ বৈশাখ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

ক্রেতাশূন্য বাজারে চড়া দাম নিত্যপণ্যের

অর্থনীতি

আমাদের বার্তা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:২৫, ২৮ এপ্রিল ২০২৩

আপডেট: ১৫:২৫, ২৮ এপ্রিল ২০২৩

সর্বশেষ

ক্রেতাশূন্য বাজারে চড়া দাম নিত্যপণ্যের

ঈদের ছুটি শেষ হলেও এখনো স্বরূপে ফেরেনি রাজধানীর বাজারগুলো। ঢিমেতালে চলছে বেচাকেনা। ক্রেতা উপস্থিতি কম থাকলেও উল্টো চিত্র নিত্যপণ্যের দামে। রোজায় কিছুটা কমলেও আবারও বেড়েছে ব্রয়লারের দাম। বেড়েছে ডিমের দামও। তবে আগের তুলনায় কমেছে পচনশীল পণ্যের দাম।

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, আজ প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকায়। পাকিস্তানি লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ টাকায়। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়। 

মুরগির মতো বেড়েছে ডিমের দামও। বাজারভেদে ফার্মের বাদামি রঙের ডিমের ডজন ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা এবং সাদা রঙের ডিম ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই দুই পদের ডিমে ডজনে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। তবে হাঁস ও দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই।

মুরগি ও ডিমের মতো বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। অন্যদিকে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়।

মাংসের দাম বাড়লেও কিছুটা কমেছে মাছের দাম। রাজধানীর মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বড় আকারের রূপচাঁদা বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকার মধ্যে। কিছুটা ছোট আকৃতির রূপচাঁদা বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। ঈদের আগে বড় রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকার নিচে পাওয়া যায়নি। ছোটগুলোও বিক্রি হয়েছিলো ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়। কেজিতে ২০ থেকে ১০০ টাকা কমে প্রতি কেজি চাষের শিং আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ৩০০ টাকা, দেশি শিং ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি মাগুর ৪৫০ টাকা, পাবদা ২৮০ থেকে ৪০০ টাকা, রুই ১৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, মলা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, কাঁচকি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রায় ১০০ থেকে ২০০ টাকা কমেছে বোয়াল ও আইড় মাছের দাম। বর্তমানে ভারতীয় বড় বোয়াল বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি, দেশি বোয়াল ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, আইড় ৫০০ থেকে ৮০০, দেশি বড় আইড় ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতাশূন্য বাজারে প্রতি কেজি করলা ৬০-৬৫, ঝিঙা-পটল ও চিচিঙ্গা ৫০-৭০, টমেটো ৪৫-৫০, কাঁচা মরিচ ৮০-৯০, পেঁপে ৫৫-৬০, গাজর ৮০-১২০ ও কচুর লতি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এছাড়া ঢেঁড়স ৮০ টাকা, শশা ১২০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চালকুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে আকারভেদে লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা। কাঁচা কাঁঠাল প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকায়।

মুদি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, চাল, ডাল, আটা-ময়দা, সয়াবিনের মতো নিত্যপণ্যের দাম কমেনি। উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল আছে। তবে চিনির বাজার নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটছে না। বাজারে চিনির সরবরাহ কম, বিক্রি হচ্ছে আগের মতো বাড়তি দামে।

জনপ্রিয়