ক্যাপাসিটি চার্জের বোঝা বহন করার জন্য প্রতি বছর বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হয়। এ ধরনের ভর্তুকিকে মন্দ ভর্তুকি আখ্যা দিয়ে তা বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সংগঠন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম। একই সঙ্গে ক্যাপাসিটি চার্জের অর্থ সমাজের অসুবিধাগ্রস্ত মানুষের কল্যাণে বরাদ্দ দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গত সোমবার সিপিডি ও নাগরিক প্ল্যাটফর্মের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘আইএমএফের সময়কালে অসুবিধাগ্রস্ত মানুষের কথা জাতীয় বাজেটে কীভাবে প্রতিফলিত হতে পারে’ শীর্ষক এক সংলাপে এমন মন্তব্য করা হয়। সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। সভাপতিত্ব করেন সিপিডির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির ফেলো ও নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেল ও সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা। আরও বক্তব্য দেন সিপিডির ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদসহ সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষের প্রতিনিধিরা। বিশেষ করে দলিত জনগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী, আদিবাসী, কৃষক প্রতিনিধি, শ্রমিক প্রতিনিধি, বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের প্রতিনিধি, ট্রান্সজেন্ডার প্রতিনিধি, অনানুষ্ঠানিক খাতের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পিছিয়ে জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা সংলাপে অংশ নিয়ে বাজেটে তাদের প্রত্যাশার বিষয়টি তুলে ধরেন।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আইএমএফ বাংলাদেশকে যে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে, তার শর্তের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভর্তুকি হ্রাস। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভর্তুকি অনেক সময় ভালো হয়, আবার খারাপও হয়। বিদ্যুৎ খাতে যে বিপুল পরিমাণে ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া হচ্ছে, তা দিয়ে সার ও ডিজেলের মতো খাতেও ভর্তুকি বাড়ানো সম্ভব।