ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ: ১৭ মরদেহ হস্তান্তর, নিখোঁজ ৩

জাতীয়

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:১৬, ৮ মার্চ ২০২৩

সর্বশেষ

সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ: ১৭ মরদেহ হস্তান্তর, নিখোঁজ ৩

বিস্ফোরণে আহতদের মধ্যে ২১ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ১০ জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি রয়েছেন।

পুরান ঢাকার সিদ্দিক বাজারে ক্যাফে কুইন ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ১৭ জনের মরদেহ বুঝে নিয়েছে পরিবার।

মঙ্গলবার বিকালের ওই ঘটনায় বুধবার সকাল পর্যন্ত তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে প্রশাসনকে জানিয়েছে তাদের স্বজনরা।

ক্যান্টনম্যান্ট জোনের এসি ল্যান্ড কাউসার হামিদ বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সাংবাদিকদের বলেন, নিহত ১৭ জনের মধ্যে ১৬ জনের মরদেহ ঢাকা জেলা প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। দাফন ও আনুষঙ্গিক কাজের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে স্বজনদের।

ওই ১৬ জন হলেন- মমিনুল ইসলাম (৩৮), তার স্ত্রী নদী আক্তার, মোহাম্মদ সুমন (২১), মুনসুর হোসাইন (৪০), ইসহাক মৃধা (৩৫), মো. ইসমাইল হোসেন (৪২), মো. রাহাত (১৮), আলামিন (২৩), মাইনউদ্দিন (৫০), নাজমুল হোসেন (২৫), ওবায়দুল হাসান বাবুল (৫৫), আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৪), আকুতি বেগম আছিয়া (৭০), হৃদয় (২০), নুরুল ইসলাম ভুইয়া (৫৫) ও আব্দুল হাকিম সিয়াম (১৯)।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মো. ইদ্রিস মীর (৬০) নামের আরও একজনের ডেথ সার্টিফিকেট হাসপাতালে রয়েছে। তবে স্বজনরা রাতে ‘জোর করে’ মরদেহ নিয়ে যাওয়ায় হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা সারা যায়নি। 

মঙ্গলবার বিকালে নর্থ সাউথ রোডের ১৮০/১ হোল্ডিংয়ের সাত তলা ওই ভবনে বিকট বিস্ফোরণ ঘটে। ভবনে থাকা বিভিন্ন দোকানের কর্মচারীদের পাশাপাশি সামনে রাস্তায় থাকা যানবাহনের যাত্রী ও পথচারীরাও হতাহত হন।

এসি ল্যান্ড কাউসার হামিদ জানান, বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত মোট ৬৫ জনকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২১ জন এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ১০ জন ভর্তি রয়েছেন।

ঢাকার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মুমিনুর রহমান মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আপাতত নিহতের স্বজনদের দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা, গুরুতর আহতদের দেওয়া হবে ২৫ টাকা আর অল্প আহতদের দেওয়া হবে ১৫ হাজার টাকা। যাতায়াত ও খাবারের ব্যবস্থাও জেলাপ্রশাসকের পক্ষ থেকে করা হবে।

তবে আহতদের সরকারিভাবে এখনও কোনো আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়নি জানিয়ে এসি ল্যান্ড কাউসার হামিদ বলেন, “আমরা সবার তথ্য যাচাই বাছাই করছি।”

তিনি বলেন, স্বজনরা মোট পাঁচজন নিখোঁজের তালিকা তাদের দিয়েছিল। তবে দুজনকে খুঁজে পাওয়া গেছে। ক্যাফে কুইন ভবনের বেজমেন্টের গুদাম কর্মচারী মেহেদী হাসান স্বপন, পথচারী ইমতিয়াজ মো. ভুঁইয়া এবং স্যানিটারি দোকানের কর্মচারী রবিন হোসেন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

এদিকে বিস্ফোরণে ক্যাফে কুইন ভবনের পিলারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভেতরে ঢুকে উদ্ধার কাজ চালানো কঠিন হয়ে পড়ায় মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে সেখানে উদ্ধারকাজ স্থগিত করে ফায়ার সার্ভিস। 

বুধবার সকালে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভবনের বাইরে পড়ে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। দোকানকর্মীরাও তাদের মালামাল সরাচ্ছেন।

বেজমেন্টে তল্লাশির জন্য ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা প্রস্তুতি নিলেও সকাল ১০টা পর্যন্ত তারা নিচে নামেননি বলে একজন কর্মকর্তা জানান।

জনপ্রিয়