ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

নকলায় মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন

দেশবার্তা

আমাদের বার্তা, শেরপুর 

প্রকাশিত: ০০:১০, ১৭ মার্চ ২০২৩

সর্বশেষ

নকলায় মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন

চলতি মৌসুমে শেরপুরের নকলায় এবার মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। বিশেষ করে উপজেলার চরঅষ্টধর, চন্দ্রকোনা, পঠাকাটা, উরফা, টালকী ও বানেশ্বরদী ইউনিয়নের অপেক্ষাকৃত অনুর্বর ও পতিত জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ বেশি হয়েছে। নামেমাত্র সময় ও শ্রম এবং খরচ কম হওয়ার পাশাপাশি ভালো দামও পাচ্ছেন চাষিরা । এ কারণে এই বারোমাসি সবজি আবাদের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন চাষিরা। দিন দিন বাড়ছে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ। এবার উপজেলায় বাম্পার ফলনের পাশাপাশি চাষিরা ভালো দাম পাওয়ায় তাদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে এখানকার মিষ্টি কুমড়া যাচ্ছে ঢাকা ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন বাজারসহ পার্শবর্তী জেলা-উপজেলার বাজারে।
শীতকালীন ফসলের জন্য অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এবং গ্রীষ্মকালীন ফসলের জন্য ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত মিষ্টি কুমড়ার বীজ বপন করা হয়। সবজি ভান্ডার খ্যাত নকলা উপজেলায় সুস্বাদু সবজি মিষ্টি কুমড়া সারা বছরই পাওয়া যায়। এই এলাকায় মিষ্টি কুমড়া ছাড়াও মৌসুমী সবজি গোলআলু, পটল, শিম, বেগুন, লাউ, ঢেঁড়স, ঝিঙা, বেগুন, চিচিংগা, টমেটো ও করলাসহ বিভিন্ন শাক-সবজির ব্যাপক আবাদ হয়ে থাকে। মৌসুমভিত্তিক নিরাপদ শাক সবজিসহ বিভিন্ন ফসল চাষে কৃষি অফিস থেকে চাষিদের নিয়মিত উদ্বুদ্ধ করা হয় এবং হচ্ছে। অপেক্ষাকৃত অনুর্বর ও পতিত জমিতে শাক সবজি আবাদে সময়, শ্রম ও খরচ কম হওয়ায় প্রতি বছরই মিষ্টি কুমড়ার পাশাপাশি অন্যান্য সবজির আবাদ দিন দিন বাড়ছে  ।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়,এ বছর উপজেলায় ২শ একর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলার অপেক্ষাকৃত অনুর্বর শত একর জমিতে চাষ করা গোলআলু ক্ষেতে এই কুমড়ার আবাদ করা হয়েছেন। এমনকি প্রতিটি বাড়ির গৃহিণীরা তাদের বাড়ির আঙ্গিনায় পরিবারের চাহিদা মিটাতে ২-৪ টি করে মিষ্টি কুমড়ার গাছ রোপণ করেছেন। এতে সবমিলিয়ে আরো অন্তত ৫০ একর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছে বলে ধারণা করছেন কৃষি কর্মকর্তাসহ স্থানীয় চাষিরা। 
এ বছর নকলা উপজেলার অনেক চাষি মিষ্টি কুমড়া চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এমন এক চাষি হলেন চরঅষ্টধর ইউনিয়নের নারায়নখোলা দক্ষিণ পাড়া এলাকার মো. সুরজত আলীর ছেলে গোলাপ জল। তিনি এ বছর ৯০ শতাংশ জমিতে আবাদ করা গোল আলুর ক্ষেতে মিষ্টি কুমড়ার বীজ বপন করেছিলেন। আলু ক্ষেতে কুমড়া চাষ করায় বাড়তি কোনো খরচ করতে হয়নি। ৯০ শতাংশ জমিতে ১৪ প্যাকেট মিষ্টি কুমড়ার বীজ, ২ বার হালকা সেচ, একবার নিড়ানি ও সামান্য পরিমাণ জৈব সার দিতে হয়েছে।

এতে করে সব মিলিয়ে তার অতিরিক্ত খরচ হয়েছে ১৬ হাজার টাকা।  এ পর্যন্ত তিনি ৯০ হাজার টাকার মিষ্টি কুমড়া পাইকারি বিক্রি করেছেন। আর এলাকার বাজারে আরো অন্তত ২০ হাজার টাকার মিষ্টি কুমড়া খুচরা বিক্রি করা হয়েছে । এখনো যে পরিমাণ ফলন রয়েছে তা থেকে আরো অন্তত ২৫ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা আয় হবে ।

জনপ্রিয়