পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন জানালো বিদেশি অর্থ পেয়েছে পিটিআই, নিষিদ্ধ হতে পারেন ইমরান
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল বিদেশ থেকে বেআইনি অর্থ পেয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন জানায়, যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বৃটেন এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার এনেছে ইমরান খানের দল। এরফলে দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানের কারণে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা দলটি এবার নিষিদ্ধ হতে পারে। রাজনীতিতে নিষিদ্ধ হতে পারেন ইমরান খানও। এ খবর দিয়েছে সিএনএন।
এ নিয়ে ইমরান খান এবং তার দলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তাৎক্ষনিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। পিটিআই'র এক মুখপাত্র কোনো ধরণের অপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এদিকে ডয়চে ভেলের এক রিপোর্টে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদনের কথা জানিয়েছে পিটিআই। যদিও ইমরানের দল বিদেশি সংস্থা থেকে অর্থ নিয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের তিনটি ট্রাইব্যুনাল। এতে জানা গেছে, অন্তত ৩৪টি বিদেশি সংস্থা কিংবা ব্যক্তির থেকে অর্থ নিয়েছে এবং কমিশনের কাছে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নিয়ে ভুয়া হলফনামা দিয়েছে। এছাড়া তারা ১৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের কথা গোপনও করেছে।
এই অ্যাকাউন্টের ঘোষণা দেয়ার কথা ছিল তাদের। এরপর পিটিআই’র তহবিল কেনো বাজেয়াপ্ত করা হবে না তা জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
পিটিআই’র দাবি, প্রবাসী পাকিস্তানিদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে, যা কোনোভাবেই বেআইনি নয়। তবে এ প্রসঙ্গে দেশটির ক্ষমতাসীন দল পিএমএল-এন প্রধান নওয়াজ শরীফ বলেছেন, ইমরান খান পাকিস্তানের ইতিহাসের সবথেকে বড় চোর তা আজ প্রমাণিত। অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক। আইন বিশেষজ্ঞ ওসামা মালিক বললেন, পাকিস্তান সরকার এখন পিটিআই-কে বিদেশি অর্থে চলা রাজনৈতিক দল হিসাবে ঘোষণা করতে পারে। তবে তাদের সুপ্রিম কোর্টের কাছে বিষয়টি পাঠাতে হবে। সর্বোচ্চ আদালত ১৫ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। মালিক জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পিটিআই চাইলে আদালতে যেতে পারে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বিষয়টি ইমরান খানের জন্য বড় সমস্যা হয়ে উঠতে যাচ্ছে। বিশ্ব বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে পাক অর্থনীতি। এমন অবস্থায় সরকারও চাপে আছে। তবে শেহবাজ শরীফের সরকারের হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিলো নির্বাচন কমিশন। এটি ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে পরবর্তী নির্বাচনে তা সুফল বয়ে আনতে পারে ক্ষমতাসীনদের জন্য।