কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিস। এই মেশিন শ্রমিক সঙ্কট ও প্রাকৃতিক দূর্যোগে কৃষকের বন্ধু হিসেবে কাজ করছে। কৃষকের ধান কেটে মাড়াই ও ঝেড়ে বস্তা বন্দি করে দেয়া হচ্ছে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ হামিদুল ইসলাম বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ২০ হাজার ৯’শ ২৮ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ১৫/২০ দিন আগে থেকেই এই উপজেলায় পাকা ধান কাটা শুরু হয়। এ পর্যন্ত ৯৫ ভাগ জমির ধান অর্থাৎ ১৯ হাজার ৮ শ’ ৮২ হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে ঘুর্ণিঝড় মোখা’র পূর্বাভাস জারি হওয়ায় কৃষকের ক্ষেতের অবশিষ্ট ৫% অর্থাৎ ১ হাজার ৪৪ হেক্টরের ধান ৫টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার কেটে দেওয়া হচ্ছে। ঘুর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস ও শ্রমিক সঙ্কটের মধ্যে মেশিন দিয়ে ধান কেটে, মাড়াই ও ঝেড়ে কৃষকরে ঘরে তুলে দেওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে কৃষকরা কম্বাইন্ড হারভেস্টারকে তাদের বন্ধু হিসেবে অবহিত করেছেন।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, কৃষির যান্ত্রিকীকরণ পদ্ধতি জনপ্রিয় করতে ও প্রতিকূলতার মধ্যে কৃষকের ধান ঘরে তুলে দিতেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় আমরা ৫০ ভাগ ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করছি। এতে শ্রমিক নির্ভরতা কমবে। কম খরচে কৃষক অধিক ফসল ঘরে তুলে লাভবান হবেন।