গত মার্চ পর্যন্ত পটুয়াখালীর পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লার বকেয়া পড়েছে ২৯৮ মিলিয়ন (২৯ কোটি ৮ লাখ) ডলার। এর মধ্যে চলতি মাসে দুই কিস্তিতে পরিশোধ করা হয়েছে ২০ মিলিয়ন (২ কোটি) ডলার। দীর্ঘ সময় ধরে বকেয়া এ বড় অংকের বিল এভাবে পরিশোধ করা হলে কয়লা পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা জানিয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল)।
বিসিপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এএম খোরশেদুল আলম বলেন, ‘গত মার্চ পর্যন্ত কয়লার ওভারডিউ হয়েছে ২৯৮ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে চলতি মাসে দুই কিস্তিতে ২০ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে বিসিপিসিএল। তবে এ অর্থ খুবই সামান্য। আমরা কয়লা আমদানিকারকসহ মন্ত্রণালয় ও ব্যাংকের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। তবে কয়লা সরবরাহ আর পাওয়া যাবে কিনা সে বিষয়টি অনিশ্চিত।’
বিপুল পরিমাণ অর্থ বকেয়া থাকার কারণে বর্তমানে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে। কেন্দ্রটিতে এখন যে পরিমাণ কয়লা মজুদ রয়েছে তা দিয়ে আর কয়েকদিন চলা সম্ভব বলে জানিয়েছে বিসিপিসিএল। এরপর কেন্দ্রটি পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে বিসিপিসিএলের নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, বিপিডিবিতে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে তা মার্চে পাঠানো চিঠিরই রিমাইন্ডার কপি। চিঠি অনুযায়ী যদি অর্থ পাওয়া যেতো তাহলে হয়তো সিএমসি বিষয়টি বিবেচনা করতো। কিন্তু এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই।
গত মার্চ পর্যন্ত বিপিডিবির কাছে বিসিপিসিএলের পাওনার পরিমাণ ৬ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে কেবল কয়লা আমদানি বাবদই ২৯৮ মিলিয়ন ডলার বা ৩ হাজার ২১৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা (বাংলাদেশ ব্যাংকের গতকালের ডলার রেট ১০৮ টাকা হিসাবে)। বিসিপিসিএল চিঠিতে জানায়, চলতি মে মাস থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে। অর্থের অভাবে বৃহৎ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ থাকলে তার জন্য বিসিপিসিএল দায়ী থাকবে না বলেও বিপিডিবিকে পাঠানো ওই চিঠিতে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।