১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশে পাকিস্তানিরা যে গণহত্যা চালিয়েছিলো, তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না বলে মনে করে ইউরোপের একটি প্রতিনিধিদল। তাদের আশা, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই স্বীকৃতি পাওয়া যাবে। গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এ কথা বলেন।
বাংলাদেশে সংগঠিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের বিষয়ে আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আয়োজক আমরা একাত্তর, ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ফোরাম (ইবিএফ) ও প্রজন্ম ’৭১ নামের তিনটি সংগঠন।
স্বাধীনতার ৫২ বছরেও বাংলাদেশে চালানো গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া যায়নি; এই স্বীকৃতি পেতে আরও কত অপেক্ষা করতে হবে— এমন এক প্রশ্নের জবাবে ইউরোপীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য নেদারল্যান্ডসের সাবেক সংসদ সদস্য হ্যারি ভ্যান বোমেল বলেন, এ কারণে সময় লাগছে যে যখন বাংলাদেশে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল, তখন ঠান্ডাযুদ্ধ চলছিল। নিশ্চিতভাবে, পশ্চিমা দেশগুলো পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। আর আন্তর্জাতিক ধারণা ছিল, সোভিয়েত ইউনিয়নের আগ্রহ বাংলাদেশে। তাই সরাসরি বলব, শীতল যুদ্ধের শিকার হয়েছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে যে গণহত্যার হয়েছে, সে বিষয়ে বিশ্বব্যাপী এখন আলোচনা হচ্ছে উল্লেখ করে হ্যারি ভ্যান বোমেল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আমি মনে করি, এর স্বীকৃতি পেতে আর অপেক্ষায় থাকতে হবে না। কয়েক বছরের মধ্যে পাওয়া যাবে।’
নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামের ফ্রিজে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যান্থনি হলস্ল্যাগ বলেন, ‘বাংলাদেশ গণহত্যার কারণে ভুগেছে। স্বীকৃতি না পাওয়ার কারণে আজও ভুগে যাচ্ছে। গণহত্যার বৈজ্ঞানিক স্বীকৃতির জন্য আমি কাজ করে যাব।’
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত। এ সময় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন।