জ্বালানি রূপান্তরের মাধ্যমে ৩৭ হাজার মানুষের নতুন কর্মসংস্থান সম্ভব। এজন্য সরকার ও নীতিনির্ধারকদের পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
গত বৃহস্পতিবার ‘শক্তি রূপান্তর : বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে কর্মসংস্থান এবং দক্ষতার ওপর শক্তি রূপান্তরের প্রভাব’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় সিপিডি। অনুষ্ঠানে গবেষণার তথ্য তুলে ধরে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
প্রতিবেদনের ফল উল্লেখ করে খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আগামীতে গ্রিড ম্যানেজমেন্ট, ডেটা অ্যানালাইসিস, সাইবার সিকিউরিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দক্ষতার সমৃদ্ধ কর্মসংস্থান প্রয়োজন। শক্তি রূপান্তরের ফলে ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ ৮ হাজার ৯১৯ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। তবে যদি শক্তি রূপান্তর উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধিতে সরকার ও নীতিনির্ধারকরা অধিক গুরুত্ব দেয়, তাহলে কর্মসংস্থান বাড়বে প্রায় ৪ গুণ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের জ্বালানি খাত জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। ৯৫ শতাংশ জ্বালানি আসছে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে। জ্বালানি খাতের অবকাঠামো, কর্মসংস্থান, প্রতিষ্ঠানগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর। কিন্তু এই চিত্র উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে ভিন্ন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে জ্বালানির রূপান্তর খুব একটা সহজ নয়। সেখানে আরো বলা হয়, জ্বালানি খাতে বিশ্বে উল্লেখযোগ্য রূপান্তর ঘটছে। সরকারি, বেসরকারি খাত ও উন্নয়ন সহযোগীরা এগিয়ে এসেছে। যদিও দেশে রূপান্তর ধীরগতিতে হচ্ছে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি সেক্টরে বিশ্বব্যাপী ১০.৭ বিলিয়ন নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে। তার মানে জ্বালানি খাতে অনেক কাজের চাহিদা শেষ হয়ে যাবে, আবার নতুন কাজের ক্ষেত্র গড়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা আখতার, বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের রেক্টর মোহাম্মদ আলাউদ্দিন প্রমুখ।