![জুনে ৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স জুনে ৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স](https://www.amaderbarta.net/media/imgAll/2023November/Remitens-2407021339.jpg)
ডলারের দর বৃদ্ধির পর আরো বাড়ল রেমিট্যান্স। গত জুনে ব্যাংকিং চ্যানেলে মোট ২৫৪ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৯ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা। গত ৪৭ মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। মে মাসে এসেছিলো ২২৫ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ২ হাজার ৩৯১ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৩০ কোটি ডলার বা ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এর আগে দেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে। আর বছরওয়ারি হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে ২০২০-২১ অর্থবছরে। ওই অর্থবছরে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। মূলত করোনার কারণে ওই সময়ে হুন্ডিতে পাঠানোর সুযোগ না থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বেড়ে যায়।
ডলার সংকটের কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অনেক কমে এসেছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তি হিসেবে ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া আইডিবি, বিশ্বব্যাংকসহ আরো কয়েকটি সংস্থা থেকে পাওয়া গেছে ৯০ কোটি ডলার। এতে রিজার্ভ সামান্য বেড়ে গত বৃহস্পতিবার ২২ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। গত বুধবার যা ছিলো ১৯ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার। দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের আগস্টে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৮ মে ডলারের মধ্যবর্তী দর ঠিক করে দিয়েছে ১১৭ টাকা। আগে ডলারের আনুষ্ঠানিক দর ছিল ১১০ টাকা। এখন প্রতি ডলার ১১৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য অর্থ পাচার ঠেকানোর কার্যকর উদ্যোগ না নিয়ে কেবল দর বাড়িয়ে কতদিন রেমিট্যান্স বাড়বে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে ব্যাংকারদের মাঝে।
রিজার্ভের পতন ঠেকাতে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে সরকার। এতে গত মার্চ পর্যন্ত আমদানি ১৫ দশমিক ৪২ শতাংশ কমেছে। একই সময়ে রপ্তানিতে ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আর রেমিট্যান্স বেড়েছে সাড়ে ৬ শতাংশ। এতে বাণিজ্য ও চলতি হিসাবে স্বস্তি থাকলেও আর্থিক হিসাবের ঘাটতি নিয়ে সংকটে রয়েছে দেশ। যে পরিমাণ বিদেশি ঋণ ও বিনিয়োগ আসছে, পরিশোধ হচ্ছে তার চেয়ে বেশি।
গত মার্চ পর্যন্ত আর্থিক হিসাবে ৯ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে যেখানে ঘাটতি ছিল ২ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার। এর আগে সব সময় আর্থিক হিসাবে উদ্বৃত্ত ছিলো।