পণ্য পরিবহনে খরচ ও সময় কমানো এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখাসহ নানা উদ্দেশ্য নিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় লজিস্টিকস নীতি, ২০২৪’ করেছে সরকার। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে বিশ্বব্যাংকের লজিস্টিকস পারফরমেন্স র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো ১০০। গত বছর যা উন্নীত হয় ৮৮-তে। তবে এ খাতে অগ্রগতি হলেও কোনো নীতিমালা ছিলো না। এ খাতের দ্রুত অগ্রগতি এবং রূপকল্প-২০৪১ অনুযায়ী সম্প্রতি প্রথমবারের মতো লজিস্টিকস নীতি প্রণয়ন করেছে সরকার। যাতে অন্তত ২৩ ধরনের পরিষেবার কথা বলা হয়। যার অন্যতম নৌ খাত।
বহির্বাণিজ্যের ৯০ শতাংশের বেশি হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। যার সহযোগী ২১ বেসরকারি আইসিডিতে শতভাগ রপ্তানিপণ্য কন্টেইনারজাতকরণ আর ৩৮ ধরনের আমদানিপণ্য খালাস হচ্ছে। লজিস্টিকস নীতিতে নৌ খাতের এসব পরিষেবাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বেশি।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল বলেন, বন্দরকে কেন্দ্র করে সড়ক-রেল-নদীপথ উন্নত হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আমাদের ৪টি পোর্ট লজিস্টিকস নীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বন্দর সেবা নিশ্চিতে অংশীজনদের নির্বিঘ্ন অংশগ্রহণ জরুরি। সেই সঙ্গে প্রয়োজন ব্যাপক দেশি-বিদেশি বিনিয়োগেরও যা লজিস্টিকস নীতিতে উল্লেখ আছে। এ বিষয়ে বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, লজিস্টিকস নীতি যদি না থাকে তবে যার যেমন ইচ্ছা তেমন করে লজিস্টিকস ইউনিটগুলো যদি ডেভেলপ হয়, তবে পরবর্তী যে লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগোচ্ছি, সেটিতে বাধা-বিঘ্ন হবে।
কাঁচামালের উৎস থেকে পণ্য ভোক্তার কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে যে লজিস্টিকস নীতি করা হয়েছে, তার বাস্তবায়নে বাড়বে সেবার পরিধি। এর ফলে সময় কমবে বলেও মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।