![মে মাসে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ১০.৩৫ শতাংশ মে মাসে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ১০.৩৫ শতাংশ](https://www.amaderbarta.net/media/imgAll/2023November/bangladesh-bank-2407051221.jpg)
এ বছরের মে মাসে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি গত মাসের তুলনায় ০.৪৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে ১০.৩৫ শতাংশে পৌঁছেছে। কোরবানি ঈদের কারণে আমদানির পরিমাণ বাড়ায় ঋণের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকাররা। এপ্রিলে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিলো ৯.৯০ শতাংশ, যা তার আগের পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন । কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাপ্তাহিক নির্বাচিত অর্থনৈতিক সূচক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি বছরের (জানুয়ারি-জুন) ছয় মাসের বেসরকারি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ১০ শতাংশ নির্ধারণ করেছিলো। তবে মে মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেসরকারি খাতে বেশি ঋণ গিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, চলমান বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের মধ্যেই বাংলাদেশে ২৩ মাসে সর্বোচ্চ লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলা হয়েছে যার মূল্য ছিলো ৬.৮৩ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসে সর্বোচ্চ এলসি খোলার রেকর্ড করা হয়েছিলো, যা ৭.০২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিলো। তারপর থেকেই ডলারের বিনিময় হার ও অভ্যন্তরীণ মুদ্রা টাকার দর ওঠানামা করার কারণে এলসি খোলার প্রবণতা কমে আসে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪ অর্থবছরে প্রথম নয়মাসে (জুলাই-মার্চ) এলসি খোলা ও সেটেলমেন্ট (নিষ্পত্তি) আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যথাক্রমে ১.৮৭ শতাংশ ও ১২.৫৯ শতাংশ কমেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম নয়মাসে এলসি সেটেলমেন্ট হয়েছে হয়েছে ৪৯.৩৭ বিলিয়ণ ডলার যেখানে ২০২৩ অর্থবছরের প্রথম নয়মাসে এলসি সেটেলমেন্ট হয়েছিলো ৫৬.৪৪ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আগামী সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি বছরের জুলাই-ডিসেম্বরের জন্য ইন্টারেস্ট রেট বেইজড নীতি ঘোষণা করবে। এবারের মুদ্রানীতিতেও বাংলাদেশ ব্যাংক মুল্যস্ফিতিকে লক্ষ্য করে মানি সাপ্লাই (অর্থ সরবরাহ) কমাতে চেষ্টা করবে।
তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্য ছিলো, জুনের মধ্যে মুল্যস্ফিতি ৭.৫ শতাংশ রাখা। কিন্তু এটা হয়নি। অইএমএফ এর আইএমএফ স্টাফ কান্ট্রি রিপোর্ট বলেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন মুদ্রানীতিতে সংকোচনমূলক ধারা অব্যাহত রাখবে। একইসঙ্গে পলিসি রেট ৮.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯ শতাংশ করার সম্ভাবনা রয়েছে।’