সন্ধ্যা ৬টার পর কোনো ঘোষণা ছাড়াই আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় ব্যবসায়ী সংগঠন। এতে বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার কোনো আলোচনা ছাড়াই বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার বাণিজ্যসেবা বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা বাণিজ্যসেবা বন্ধ থাকলে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের লোকসানের পাশাপাশি রাজস্ব আয়ে বড় ধরনের ঘাটতি দেখা দেবে।
এদিকে বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, সন্ধ্যার পর থেকে বাণিজ্যসেবা চালু করতে পেট্রাপোল বন্দরের ম্যানেজারকে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু চারদিন অতিবাহিত হলেও এখনো কোনো সুরাহা হয়নি।
বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ১ আগস্ট দুদেশের সিদ্ধান্তে সপ্তাহে ছয়দিন ২৪ ঘণ্টার বাণিজ্যসেবা শুরু হয়। আর এ সুযোগে রাত-দিন, এমনকি জরুরি মুহূর্তে শুক্রবারও আমদানি-রপ্তানি ও পণ্য খালাস কার্যক্রম চলতো। এতে আগের চেয়ে বাণিজ্য ও রাজস্বের পরিমাণ ৪০ শতাংশ বেড়ে যায়। এবং আমদানি-রপ্তানিতে বাণিজ্যে গতিশীলতা আসে।
জানা গেছে, ২৪ ঘণ্টা আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হওয়ায় এ সময় আমদানির পরিমাণ ৩০০ ট্রাক থেকে বেড়ে ৫০০ ট্রাকে দাঁড়ায়। আর বছরে রাজস্ব আয় ৩ হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার কোটির ঘরে। হঠাৎ পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ কোনো আলোচনা ছাড়াই ২৪ ঘণ্টার এ বাণিজ্যসেবা বন্ধ করে দেয়। এতে সন্ধ্যা ৬টার পর ওপার থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে ঢুকছে না।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, বন্দর দিয়ে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা বাণিজ্যসেবা চলছিলো। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার ১১ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ আছে। বর্তমানে সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত পণ্য আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে।