সাপ্তাহিক ছুটিসহ টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর খুলেছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এ সময়ে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় মোবাইল ফিন্যান্স কোম্পানি এবং এটিএম বুথেও কাঙ্ক্ষিত সেবা মেলেনি। এতে নগদ টাকায় টান পড়েছে গ্রাহকের। এ কারণে ব্যাংক খোলার খবরে শাখায় শাখায় উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। এদিন টাকা জমার চেয়ে উত্তোলনই বেশি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা।
বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, দিলকুশা, বাংলামোটর, মতিঝিল, পল্টন এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে। ব্যাংকগুলোর শাখার প্রতিটি সেবা কাউন্টারে উপস্থিত সিংহভাগ গ্রাহকই এসেছেন টাকা উত্তোলন করতে। দু-একজন জমা দিতে এসেছেন।
এদিন সকালে টাকা তোলার জন্য সোনালী ব্যাংকে অপেক্ষা করছিলেন মো. হোসাইন। তিনি বলেন, গত কয়েক দিনে নগদ টাকার জন্য বেশ অস্বস্তিতে ছিলাম। এটিএম বুথ থেকেও টাকা তুলতে পারিনি। কয়েকটি বুথ ঘুরে দেখেছি সেখানে সেবা না পাওয়ায় আরো অনেকেই সমস্যায় পড়েছেন। ব্যাংক খোলার কথা শুনেই চলে এসেছি।
আরিফ নামে আরেক গ্রাহক এসেছেন ব্যাংক এশিয়ার মিরপুরের কাজীপাড়া শাখায়। তিনি বলেন, নগদ টাকা সঙ্কটের কারণে নানান সমস্যায় পড়েছি। বাজার করতে পারছিলাম না। সুপারশপ দূরে থাকায় ঝুঁকি নিয়ে সেখানেও যেতে পারিনি। ব্যাংক খুলেছে, লেনদেন করতে পেরে ভালোই লাগছে। অন্তত কাছে টাকা থাকায় মনে শান্তি পাচ্ছি।
এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম বলেন, তিন কার্যদিবস ব্যাংক বন্ধ ছিলো। এ সময়ে হয়তো অনেক গ্রাহকই তাদের নগদ টাকা কেনাকাটায় শেষ করেছেন। এ কারণে আজকের বেশিরভাগ গ্রাহকই টাকা তুলছেন।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবারও ব্যাংক খোলা থাকবে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। এর আগে গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানান, বুধবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। আর একই দিনে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সব অফিস খোলা থাকবে।