ঢাকা রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

সিমেন্টের কাঁচামাল আমদানি শীর্ষে

অর্থনীতি

বাণিজ্য ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:৩৫, ২৫ জুলাই ২০২৪

সর্বশেষ

সিমেন্টের কাঁচামাল আমদানি শীর্ষে

একটানা ২৪ বছর ধরে পণ্য আমদানির শীর্ষে রয়েছে সিমেন্ট শিল্পের কাঁচামাল ক্লিংকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আমদানির তথ্য পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এনবিআরের হিসাব অনুযায়ী, সদ্য বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ক্লিংকার আমদানি হয়েছে ২ কোটি ৫ লাখ টন। এই আমদানি ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় সামান্য কমলেও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। দ্বিতীয় শীর্ষ পণ্য কয়লা। গত অর্থবছরে কয়লার চেয়ে ক্লিংকার আমদানির পরিমাণ ছিল ৭৮ লাখ টন বেশি। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভাঙা পাথর। বিদায়ী অর্থবছরে ভাঙা পাথর আমদানি হয়েছে সোয়া কোটি টন।

সিমেন্টের কাঁচামাল আমদানির ইতিহাস খুব বেশি দিনের নয়। ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দের আগে দেশে দুটি কারখানা চালু ছিলো। ফলে চাহিদা মেটাতে সরাসরি সিমেন্ট আমদানি হতো। এরপর দেশীয় উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসতে থাকেন। সেই সঙ্গে বাড়তে শুরু করে ক্লিংকার আমদানি। ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছর থেকে নিয়মিত ক্লিংকার আমদানি শুরু হয়। ২০০০-২০০১ অর্থবছরে প্রথম ক্লিংকার আমদানি অন্য সব পণ্যকে ছাড়িয়ে যায়।

আগে এই তালিকায় ছিলো মূলত খাদ্যশস্য গম কিংবা চাল। খাদ্য বিভাগের হিসাবে, ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে গম আমদানি হয়েছিলো ১৬ লাখ ৭১ হাজার টন, যা একক পণ্য হিসেবে শীর্ষে। এর এক বছর আগে অর্থাৎ ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে শীর্ষ আমদানি পণ্য ছিলো চাল। সেবার চাল আমদানি হয়েছিলো ৩০ লাখ ৬৪ হাজার টন।

বর্তমানে দেশে যত পণ্য আমদানি হয়, তার ১৫ শতাংশই সিমেন্টের কাঁচামাল ক্লিংকার। বিদায়ী অর্থবছরে ক্লিংকার আমদানিতে খরচ হয়েছে ১৩ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা। শিল্পের এই কাঁচামাল আমদানি থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ৩ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা।

সিমেন্ট খাতের উদ্যোক্তারা জানান, সিমেন্ট তৈরিতে পাঁচ ধরনের কাঁচামাল ব্যবহার করা হয়। যার বেশির ভাগ আমদানিনির্ভর। কাঁচামাল পাঁচটি হলো ক্লিংকার, জিপসাম, স্ল্যাগ, চুনাপাথর ও ফ্লাই অ্যাশ। এই পাঁচ পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমদানি ও ব্যবহৃত হয় ক্লিংকার। চুনাপাথরের সঙ্গে বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে উচ্চতাপে ক্লিংকার তৈরি করা হয়।
 

জনপ্রিয়