ঢাকা রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

পণ্য খালাসীকরণে দীর্ঘসূত্রতা

অর্থনীতি

বাণিজ্য ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:০৬, ২৭ জুলাই ২০২৪

সর্বশেষ

পণ্য খালাসীকরণে দীর্ঘসূত্রতা

ইন্টারনেট ও পরিবহন ব্যবস্থা কার্যত বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে দেখা দিয়েছিলো স্থবিরতা। এ সময় বন্দরে আটকে থাকা পণ্য খালাস করতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। টানা পাঁচদিনের অচলাবস্থার পর গত বুধবার থেকে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

তবে বন্দর ড্যামারেজ ফি-সংক্রান্ত জটিলতায় আবারো দীর্ঘ হচ্ছে পণ্য খালাসীকরণ প্রক্রিয়া। সরকারের পক্ষ থেকে ড্যামারেজ ফি মওকুফের ইঙ্গিত দেয়া হলেও কোনো ধরনের গণবিজ্ঞপ্তি বা আদেশ জারি করা হয়নি। ব্যবসায়ীদের প্রতিটি চালানের জন্য পৃথক আবেদন করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। এতে একদিকে যেমন মাশুল মওকুফের জটিলতা বাড়ছে, অন্যদিকে নতুন করে কনটেইনার ড্যামারেজ ফি আরোপের শঙ্কায়ও রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সাধারণত জাহাজ থেকে কনটেইনার নামানোর চারদিনের মধ্যে পণ্য খালাস করতে হয় আমদানিকারকদের। এ সময়ের মধ্যে পণ্য খালাস করতে না পারলে অতিরিক্ত ভাড়া (ড্যামারেজ ফি) গুনতে হয় তাদের। প্রথম সাতদিনের জন্য প্রতিদিন ৬ ডলার, এরপর ১১ দিনের জন্য প্রতিদিন ১২ ডলার এবং পরবর্তী সময়ের জন্য প্রতিদিন ২৪ ডলার করে ড্যামারেজ ফি দিতে হয় বন্দর কর্তৃপক্ষকে।

গত বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বন্দরের ড্যামারেজ ফি মওকুফের ইঙ্গিত দিয়ে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘অনেক আমদানিকারক চলমান পরিস্থিতির কারণে পণ্য খালাস করতে পারেননি। তারা অনেকেই একটা চার্জের মুখোমুখি চলে এসেছেন। করোনার সময়ও চট্টগ্রাম বন্দর ৫০০ কোটি টাকার ওপরে ওয়েভার (মওকুফ) দিয়েছিলো। কারণ শুধু ব্যবসা করার জন্য নয়, দেশের অর্থনীতিকে সেবা করার জন্য এ বন্দর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। সঠিক তথ্যপ্রমাণসহ এলে আমরা পাশে দাঁড়াবো।’

তবে সরকারের পক্ষ থেকে মাশুল ছাড়ের আশ্বাস দেয়া হলেও এ-সংক্রান্ত কোনো বিজ্ঞপ্তি বা পরিপত্র জারি করা হয়নি। ফলে ব্যবসায়ীদের ফি মওকুফের জন্য আলাদা আবেদন করতে হচ্ছে। এতে জটিলতা আরো বাড়ছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
 

জনপ্রিয়