ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে আইটি খাতে। ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তারা বলছেন, ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ। আগামীতে যেনো এমন পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সরকারের কাছে সেই প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান আইটি খাত সংশ্লিষ্টরা।
উদ্যোক্তারা জানান, টানা পাঁচদিন ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন থাকায় বিদেশি গ্রাহকদের অর্ডারের বিপরীতে দেয়া যায়নি ডেলিভারি। তাতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। সঠিক সময়ে সাড়া দিতে না পেরে গ্রাহকের নেগেটিভ রিভিউয়ে মার্কেটপ্লেসে রেটিং কমেছে অনেক ফ্রিল্যান্সারের। কিভাবে ধকল কাটিয়ে উঠবেন সেই দুশ্চিন্তায় আছেন তারা।
বেসিসের তথ্য অনুযায়ী, ইন্টারনেটের না থাকায় শুধু সফটওয়্যার রপ্তানিতে ক্ষতি প্রায় ৫শ' কোটি টাকা। এই অবস্থায় এখন ভাবমূর্তি ফেরানোকেই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, বিদেশের ক্যাবল কাটা গেলেও দেশের ভেতরে বাণিজ্য বন্ধ হবে না, প্রিপেইড মিটার বন্ধ হবে না, ই-কমার্স বন্ধ হবে না, লোকাল সার্ভিসগুলো তো ইন্টারনেটের ভেতর দিয়ে যায় এই নেটওয়ার্ক ডিজাইন করা, সেইফ ইন্টারনেট কনফার্ম এখন করতে হবে।
বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির সভাপতি ডা. তানজীবা রহমান বলেন, আমরা যারা আইটিখাতের তাদের তো ইন্টারনেট মাস্ট। তাই তাদেরকে আলাদা একটি হাব থেকে কানেকশন দেয়া হোক। ফ্রিল্যান্সার আইডিকার্ড হোল্ডার যারা আছেন তারা সেই হাব থেকে কানেকশন নেবেন এবং সেই হাবটি যাতে ডাউন না হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
বর্তমানে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং, সফটওয়্যার তৈরি ও ডিজাইনসহ নানামুখী কাজে যুক্ত প্রায় ৩ লাখ মানুষ। এ খাত থেকে বছরে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয় কমবেশি ২শ’ কোটি ডলার।