কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে পোশাক রপ্তানিকারকদের সাত দিনের বন্দর ডেমারেজ চার্জ মওকুফ (পণ্য খালাসের বিলম্বের কারণে চার্জ) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
গত রোববার ক্ষতিপূরণ নিয়ে বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে সচিবালয়ে বৈঠকের পর নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের কাছে তাদের দাবি আছে। এগুলো কিছু আছে এনবিআর, কিছু অর্থ মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত, কিছু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত। সেগুলো তারা আমাকে অবহিত করেছে। সেই বিষয়গুলো সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ মুহূর্তে আমার কাছে যেটুকু সামর্থ্য আছে সেইটুকু আমি করতে পারি। এর বেশি করতে হলে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। পণ্য আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছিলো। কিন্তু দেয়ার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর সেবা প্রস্তুত ছিলো।
ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, আমাদের সড়ক, রেল ও নৌ-যোগাযোগ, আকাশপথ সবই উন্নত হয়েছে। আমরা বলেছিলাম ব্যবসায়ীরা যদি আমাদের কাছে কোনো সহযোগিতা চায় আমরা করবো।
অন্যান্য রপ্তানিকারকদের ক্ষেত্রে কি হবে জানতে চাইলে-নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই সুবিধা শুধু বিজিএমইএ’র ক্ষেত্রে, জেনারেল নয়। সবাইকে এই সুবিধা দিতে হলে আমাদের আরো উচ্চ পর্যায়ে কথা বলতে হবে। এটা করার ক্ষমতা আমাদের নেই।
বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীকে দেয়া দাবিতে বলা হয়েছে, দেশে চলমান সঙ্কটাপন্ন অবস্থা ও কারফিউ এবং বন্দর ও কাস্টমসের সার্ভারে অনলাইন সংযোগ না থাকা-ধীর গতি থাকার কারণে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য খালাস করতে সক্ষম হয়নি। বর্তমানে বন্দর ও কাস্টমসের সার্ভার চালু হওয়ার ফলে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে উল্লেখিত কারণে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার কারণে বন্দরে সৃষ্টি হয়েছে কনটেইনার জট এবং আমদানিকারকদের ওপর ধার্য হয়েছে অতিরিক্ত ডেমারেজ চার্জ।