দেশের অর্থনীতিতে প্রতি বছর প্রবৃদ্ধি হলেও, পুঁজিবাজারে উল্টা চিত্র। অস্থিতিশীল বাজারে হতাশা বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। বাজার ছেড়ে চলে গেছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও। বিশ্লেষকেরা বলছেন, টাস্কফোর্স গঠন করায় বাজারের প্রতি আস্থা ফিরবে। মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে রূপরেখা তৈরি করা গেলে, বাড়বে প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগ।
চলতি মাসের শুরু থেকে ছয় কর্মদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে ১৩ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা। এ কয়দিনে সূচক কমেছে ২৬৩ পয়েন্ট। ধারাবাহিক দরপতনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
পুঁজিবাজার সংস্কারে এরই মধ্যে দৃশ্যমান উদ্যোগ নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। সবশেষ, সংস্কার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গঠন করা হয় পাঁচ সদস্যের টাস্কফোর্স। পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিত করতে কাজ করবে এ টাস্কফোর্স।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, টাস্কফোর্সের মাধ্যমে চূড়ান্ত রূপরেখা প্রণয়ন হলে পুঁজিবাজারে আস্থা ফিরে আসবে বিনিয়োগকারীদের। দীর্ঘ মেয়াদে স্থিতিশীলতা ফিরবে বাজারে।
ডক্টর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. সাইফুদ্দিন বলেন, পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে মধ্য-দীর্ঘমেয়াদি রূপরেখা সামনে আনতে হবে। এতে মার্কেটের ওপর কনফিডেন্স আনা সহজ হবে। বিনিয়োগকারীরা বাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে আস্থা ফিরে পাবে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অতীতে শিবলী কমিশন বাজারের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে স্টেক হোল্ডারদের মতামতকে বিভিন্ন সময় উপেক্ষিত করেছে। তাই বাজারের উন্নয়নে টাস্কফোর্সসহ নতুন কমিশনকে তাদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজের সিইও কাওসার আল মামুন বলেন, ‘এ পর্যন্ত পুঁজিবাজারে যতগুলো আইন আমাদের দেশে হয়েছে প্রতিটির বিষয়ে খসড়া এবং পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ডিবিএ থেকে। তবে আমাদের কোনো পরামর্শ গ্রহণযোগ্য হয়নি।’
তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্বচ্ছতা, প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন, করপোরেট ঘোষণাসহ বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় বিভিন্ন সুপারিশ করবে টাস্কফোর্স। সুপারিশ অনুযায়ী, পুঁজিবাজারের স্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।