বর্তমান মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিকে সাময়িক বলে দাবি করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ে এক সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, তবে এটা অস্বাভাবিক না। বৈশ্বিকভাবে প্রবণতা এমনই। বাংলাদেশে বেড়েছে বন্যা, মজুরি বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতির ভিত্তিকে নিয়ন্ত্রণ না করা ইত্যাদি কারণে। তবে এটা সাময়িক।’
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি ও পণ্যের মূল্যকে এক করে দেখা যাবে না। কিছু ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি কমলেও পণ্যের মূল্য বেড়েছে।’
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ তথ্যে জানা যায়, সেপ্টেম্বরের চেয়ে অক্টোবরে দেশের সার্বিক ও খাদ্য মূল্যস্ফীতি দুটোই বেড়েছে। সেপ্টেম্বরের এক অঙ্কের মূল্যস্ফীতি গত মাসে বেড়ে দুই অঙ্কে দাঁড়িয়েছে।
এতে জানানো হয়, গত অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত সেপ্টেম্বরে এটি ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ।
অক্টোবরে খাদ্য মূল্যস্ফীতিও বেড়েছে। বর্তমানে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গত সেপ্টেম্বরে ছিল ১০ দশমিক ০৪ শতাংশ। অবশ্য গত মাসে কিছুটা কমেছে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি।
এর আগে, গত জুলাইয়ে দেশে জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ওই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ হারে।
২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ থেকে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি নয় শতাংশের ওপরে আছে। যার প্রভাব পড়েছে স্বল্প ও মধ্য আয়ের মানুষের ওপর।