ঢাকা বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ , ২৮ কার্তিক ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

আদানিকে ১৭ কোটি ডলার পরিশোধ করছে বাংলাদেশ

অর্থনীতি

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:৫৪, ৮ নভেম্বর ২০২৪

সর্বশেষ

আদানিকে  ১৭ কোটি ডলার পরিশোধ করছে বাংলাদেশ

ভারতের আদানি পাওয়ারকে আরও ১৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার (২ হাজার কোটি টাকার বেশি) বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছে বাংলাদেশ। ঝাড়খণ্ড রাজ্যে অবস্থিত গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে এই অর্থ দেয়া হচ্ছে বলে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) প্রকাশিত ভারতীয় সংবাদমাধ্যম   এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দুজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, বাংলাদেশ গত মাসে ৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে। চলতি মাসে আরও ১৭ কোটি ডলার পরিশোধের জন্য একটি ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়েছে।

 
আদানি পাওয়ারের বকেয়া শোধ করতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ১৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের (২ হাজার ৬১ কোটি টাকার বেশি) একটি ঋণপত্র (এলসি) খুলেছে।
 
অজ্ঞাত একটি সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, ‘এটা পিডিবির পক্ষ থেকে আদানি পাওয়ারকে দেয়া তৃতীয় এলসি। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ভারতের আইসিআইসিআই ব্যাংকে এই এলসি খোলা হয়েছে।’

আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে কোম্পানিটির সঙ্গে ২৫ বছর মেয়াদে একটি চুক্তি করে শেখ হাসিনা সরকার। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় আদানি পাওয়ারের দুটি ইউনিট রয়েছে। যেগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা ৮০০ মেগাওয়াট করে।
 
এই দুটি ইউনিটের পুরো বিদ্যুৎ অর্থাৎ ১৬০০ মেগাওয়াটই আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে রফতানি করে। আদানি পাওয়ার বাংলাদেশের বিদ্যুতের চাহিদার ১০ শতাংশ পূরণ করে।
 
তবে সম্প্রতি সেই বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। গত বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর আগেই কয়লার দাম নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়। কয়লার চড়া দাম দিতে অস্বীকৃতি জানায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।
 
এরপর দাম কমাতে রাজি হয় আদানি। পায়রা ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে কম দামে কয়লা সরবরাহের প্রতিশ্রুতিও দেয় তারা। তবে এক বছর পর এখন আবারও বাড়তি দাম চাইছে আদানি।

জানা গেছে, গত জুলাই থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার দাম পায়রার তুলনায় ২২ শতাংশ বেশি ধরে বিল করছে আদানি। আবার বকেয়া বিলের ওপর ১৫ শতাংশ হারে সুদ ধরা হচ্ছে। পাশাপাশি বকেয়া বিল পরিশোধে বাংলাদেশকে নিয়মিত চাপ দিচ্ছে। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বকেয়া বিল পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে আদানি।
 
এরপর বকেয়া পরিশোধে নতুন করে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেয় আদানি কর্তৃপক্ষ। তা না হলে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ার হুমকিও দেয়া হয়। যদিও বকেয়া বিলের পরিমাণে গড়মিল রয়েছে। 
 
কয়লার বাড়তি দর ও বকেয়া বিলের সুদ ধরে আদানির হিসাবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কাছে পাওনা জমেছে ৮৫ কোটি (৮৫০ মিলিয়ন) ডলার বা ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
 
তবে পিডিবি বলছে, আদানির বকেয়া বিলের পরিমাণ ৭০ কোটি ডলার বা আট হাজার ৪০০ কোটি টাকা। বকেয়া বিলের বড় অংশই শেখ হাসিনা সরকারের রেখে যাওয়া। আগের সরকার প্রায় ৮০ কোটি ডলার বকেয়া রেখে গিয়েছিল। 

জনপ্রিয়