নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালের সামনে গণভ্যুত্থানের আহতদের আন্দোলনের অর্থ দেশ বড় ধরণের সংকটের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আগের সরকারকে (আওয়ামী লীগ সরকার) কেউ বিশ্বাস করত না। বিদেশ থেকে কেউ টাকা দিত না। দিলেও সেটা ব্যাংকে দিতো না। চুরি করে দিতো, ফলে রিজার্ভে প্রভাব পড়তো না। আমাদের ব্যাংক আগের চাইতে ভালো হচ্ছে। তবে জিনিসের দাম কমেনি, জনগণের কষ্ট কমেনি, মানুষের দুর্দশা কমেনি।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে গণতন্ত্রের জন্য একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন দিতে পারবেন চেষ্টা করুন। সংস্কার বলেন, যাই বলেন, এই অন্তর্বর্তী সরকার চাপিয়ে দেওয়ার অধিকার রাখে না। ধান্দাবাজ লোকদের আপনি উপদেষ্টা বানাবেন, তাদের বড় বড় অফিসারের পদ দেবেন, তা করলে হবে না।’
নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়া বশিরউদ্দীন ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘কী করে এই দুজন মানুষকে নিলেন? কার বুদ্ধিতে নিলেন? এই দুইজন মানুষ কী করে উপদেষ্টা পরিষদে এলো? তাদের নাম কে বলল? তাদের নাম কী করে এলো? একমাত্র প্রধান উপদেষ্টা সে ব্যাপারে চূড়ান্ত কথা বলতে পারেন। আমি জানতে চাই, কার পরামর্শে এই দুজনকে উপদেষ্টা পরিষদে নেওয়া হয়েছে এবং কী বিবেচনায়?’