এখনও চাহিদা অনুযায়ী অর্থ উত্তোলন করতে পারছে না অন্তত ১০টি বেসরকারি ব্যাংকের গ্রাহক। সমস্যা কাটিয়ে উঠতে বড় অংকের সহায়তা চান নির্বাহীরা। তবে দীর্ঘমেয়াদে সহায়তার বিপক্ষে বিশ্লেষকরা। আর পরিস্থিতি উত্তরণে নতুন পথে হাঁটার ইঙ্গিত গভর্নরের।
ন্যাশনাল ব্যাংকের দিলকুশা শাখায় টাকা তোলার কাউন্টারগুলোতে গ্রাহকের ভিড় থাকলেও পুরোপুরি খালি জমা দেয়ার জায়গা। শাখাটির তথ্য বলছে, প্রতিদিন কোটি টাকার ওপরে টাকা উত্তোলনের বিপরীতে জমা পড়ছে নামমাত্র। ফলে চাহিদা অনুযায়ী ফেরত দিতে হিমশিম খাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
শুধু ন্যাশনাল নয়, একই পরিস্থিতিতে বেসরকারি আরও অন্তত ১০টি বাণিজ্যিক ব্যাংক। যার ফলে বিপাকে পড়েছেন ছোট গ্রাহকসহ ব্যবসায়ীরা।
টাকা না ছাপিয়ে দুর্বল এসব প্রতিষ্ঠানকে বিকল্প উপায়ে সহায়তার উদ্যোগ নেন নতুন গভর্নর। এরই মধ্যে সেই প্রক্রিয়ায় ৭ ব্যাংকে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার সহায়তা দিয়েছে তুলনামূলক ভালো অবস্থানে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু তাতেও বদলায়নি সার্বিক পরিস্থিতি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘ সময় ধরে আর্থিক সহায়তা দিয়ে ব্যাংকগুলোকে টেনে নেয়া ঠিক হবে না। তাই প্রয়োজনে অবসায়নের পরামর্শ তাদের।
বিআইবিএমের অধ্যাপক শাহ মো. হাবীব বলেন, যে ব্যাংকগুলো আগে দুর্বল ছিলো না, কোনো না কোনো হস্তক্ষেপের কারনেই হোক এই ঘটনাটা ঘটেছে। রেগুলেটরিসহ সবার দায়িত্ব এটা বাঁচানো।
বিআইডিএস-এর সাবেক মহাপরিচালক এম কে মুজেরি বলেন, এই ব্যাংকগুলোকে নিজের সামর্থে ঘুরে দাঁড়াতে হবে, বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সাপোর্ট দিতে পারে, কিন্তু এই সাপোর্ট তো অনাধিকালের জন্য চলতে পারে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোর জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গ্রাহকের আস্থা ফেরাতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে।