আগামী জানুয়ারি থেকে জুন মেয়াদে যে জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে সেখানে দাম আরও কমানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) আয়োজিত ‘বাজার ভিত্তিক জ্বালানি মূল্য নির্ধারণ: সরকার পরিচালিত উদ্যোগ এবং সম্ভাব্য সংশোধন’ বিষয়ক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
চেয়ারম্যান জানান, আগামী জানুয়ারি থেকে জুন মেয়াদে জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে। এ সময়ে আমদানি করা তেলের দাম আরও কমানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে।
তেলের দাম কমাতে তেল বিক্রি কার্যক্রম অটোমেশনের বিকল্প নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের স্টোরেজ ক্ষমতা কম, ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে ৫০০ কোটি টাকা বেশি খরচ হয়েছে। বর্তমানে স্টোরেজ বাড়ানোর কাজ চলছে। এতে খরচও কমার পাশাপাশি দামও কমবে।
এর আগে সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে আরও সামঞ্জস্যপূর্ণ করে নির্ধারণ করার সুযোগ আছে। বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে ভর্তুকি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে এই পরিমাণ ছিল ৪ হাজার কোটি টাকা। ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ শেষে এটি ৩২ হাজার কোটিতে দাঁড়াবে। ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে এই পরিমাণ হবে ৪০ হাজার কোটি।
সব পর্যায়ের গ্রাহকদের জন্য একই হারে এবং মাত্র ১ বছরের ব্যবধানে গ্যাসের দাম বাড়ানো অগ্রহণযোগ্য জানিয়ে তিনি বলেন, তিন বছর ধরে অযৌক্তিক হারে দাম বাড়িয়ে আগের লোকসান সমন্বয় করছে পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক চর্চা মাথায় নিতে হবে।