বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে ধারাবাহিক ভাবে বাড়ছে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। এই ধারায় গত চার মাসে বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে এসেছে দুই বিলিয়ন ডলারেরও বেশি রেমিট্যান্স।
রোববার (১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্য বলছে, নভেম্বর মাসে বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে পাঠিয়েছেন ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৬ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসেবে)।
চলতি অর্থবছরের অক্টোবর মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার ডলার। সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার এবং আগস্টে আসে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, নভেম্বর মাসে একক ব্যাংক হিসাবে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। এই ব্যাংকেই আসে ৩৬ কোটি ৬ লাখ ডলার।
অপরদিকে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৮২ কোটি ৪২ লাখ ১০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৪ কোট ৫৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১২২ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এছাড়া ৬২ লাখ ৮০ হাজার ডলার এসেছে বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে।
তবে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৯টি। এর মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক। বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
এর আগে দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে জুলাই মাসে। বছরওয়ারি হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে ২০২০-২১ অর্থবছরে। ওই অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স আসে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার।