ঢাকা সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

গত ১৫ বছরে দুর্নীতির ১০০ টাকার ৬০ টাকাই পাচার: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

অর্থনীতি

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:২৪, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১৬:৪১, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

সর্বশেষ

গত ১৫ বছরে দুর্নীতির ১০০ টাকার ৬০ টাকাই পাচার: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

পূর্বে দুর্নীতির একটা বড় অংশ দেশেই বিনিয়োগ হয়েছে উল্লেখ করে বিগত ১৫ বছরে ১০০ টাকা দুর্নীতি হলে, ৬০ টাকাই দেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে, শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। এই কমিটির সদস্যরা জানান, হুন্ডি করে নয়, প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্নীতির টাকা পাচার হয়েছে। সরকারি ব্যয়ের প্রায় ৪০ শতাংশই তছরুপ হয়েছে। মেগা প্রকল্পে যে লুটপাট হয়েছে তা কয়েক প্রজন্ম ধরে শোধ করতে হবে।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে শ্বেতপত্র কমিটির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে কমিটির সব সদস্য সংক্ষেপে প্রতিক্রিয়া জানান।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, চামচা পুঁজিবাদ থেকে চোরতন্ত্রে পরিণত হয়েছিল পুরো কাঠামো। এর উৎস ২০১৮ এর নির্বাচন। পরবর্তী সময়ে যে ভোট হয়েছে সেখানে স্বচ্ছতার জায়গা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকারের জবাবদিহিতা নষ্ট করা হয়েছে। জাতিসংঘ এখনো মনে করছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পথে কোনো বাধা নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে ড. দেবপ্রিয় বলেন, বিগত সময়ে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি ও লোপাট করেছে আমলারা। তারপর দুর্নীতি হলো পাঠ করেছে ব্যবসায়ীরা।

তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা না গেলে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার কার্যক্রম করা যাবে না। পরবর্তী জাতীয় বাজেট আসার আগে দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারে বর্তমান সরকার কি কি উদ্যোগ নেবে সেগুলোকে স্পষ্ট করতে হবে। আরো দায়বদ্ধতা আনতে হবে। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এ সরকার পাঁচ বছর দায়িত্বে থাকবে না। তবে অন্তত আগামী দুই বছরের কর্মপরিকল্পনা সামনে থাকতে হবে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী সরকারের সময়ে গড়ে প্রতি বছর ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ড. এ কে এনামুল হক বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্পে মোট ব্যয়ের ৪০ শতাংশ ব্যয় তছরুপ বা লুটপাট করা হয়েছে।

কমিটির সদস্য ড. আবু ইউসুফ বলেন, রাজস্ব বোর্ড যে পরিমাণ টিন সার্টিফিকেট থাকার দাবি করে, সে পরিমাণ রাজস্ব আহরণ হয় না। এমনকি কেউ মারা গেলে সেই সার্টিফিকেট বা নম্বর কী হবে, সেটির কোনো কার্যকর প্রক্রিয়া নেই। রাজস্ব বোর্ড সেটা কমিটিকে দিতে পারেনি। কীভাবে বিভিন্ন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা খাতকে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে তার কোনো সঠিক কাঠামো নেই।

কমিটির সদস্য ড. তাসনীম সিদ্দিকী বলেন, অভিবাসনের জন্য মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয়েছে। অভিবাসনের মাধ্যমেও অর্থপাচার হয়েছে।

জনপ্রিয়