অর্থপাচারের অভিযোগে করা মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে বিচারিক আদালতের দেয়া সাত বছরের কারাদণ্ডের রায় বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে খালাস দেয়া হয়েছে। গিয়াস উদ্দিন আল মামুন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ওমর সাদাত ও সাব্বির হামজা। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলায় ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ এপ্রিল তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন। এছাড়া ১২ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
রায়ে লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকের হিসাবে থাকা ৪৪ হাজার ৬১০ দশমিক শূন্য আট ব্রিটিশ স্টালিং (বাংলাদেশি টাকায় ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা) বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেয়া হয়। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তিনি। সেই আপিলের শুনানি শেষে আজ রায় দেন হাইকোর্ট।
২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ জানুয়ারি গ্রেফতার হন গিয়াস উদ্দিন মামুন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর চলতি বছরের ৬ আগস্ট তিনি কারামুক্ত হন।
ওই ঘটনায় পরের বছরের ২৬ এপ্রিল দুদকের উপ-পরিচালক মো. ইব্রাহিম আদালতে মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। একই বছরের ৩১ অক্টোবর আদালত মামুনের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠন করেন। বিচারকালে ১০ সাক্ষীর মধ্যে নয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।