ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১১ পৌষ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানি করবে সরকার: খাদ্য উপদেষ্টা

অর্থনীতি

আমাদের বার্তা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

প্রকাশিত: ১৬:২৪, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

সর্বশেষ

বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানি করবে সরকার: খাদ্য উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, ‘খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চাল সংগ্রহে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে ২২ লাখ টন খাদ্য মজুত আছে। সেটিকে ৩০ লাখ করার জন্য কাজ করছে সরকার। আমদানির ক্ষেত্রে আমরা একক কোনও দেশের ওপর নির্ভর করবো না। যেহেতু আমাদের খাদ্যঘাটতি আছে, আমরা অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করে সে ঘাটতি পূরণ করবো। আমরা সে চেষ্টা করছি।’

রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মেঘনার তীরে নির্মাণাধীন স্টিল সাইলোর নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের দিনি তিনি এই কথা জানান।

ভারত থেকে চাল আমদানির বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘বাণিজ্য ও রাজনীতিকে আমরা একসঙ্গে দেখছি না। বাণিজ্যকে আমরা বাণিজ্যিকভাবেই দেখছি। যখন দেশে চালের ভালো উৎপাদন হয়, সেক্ষেত্রে আমদানির পরিমাণ কম হয়। তবে ঘাটটি পূরণের জন্য মাঝেমধ্যে আমদানি করতে হয়। এবারে বন্যায় পূর্বাঞ্চলে কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে খাদ্যঘাটতি হতে পারে। এজন্য আমরা আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে খাদ্যশস্য কেনার পরিকল্পনা নিয়েছি। প্রথমত ভারত থেকে। দ্বিতীয়ত সরকার টু সরকারে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে। এর মধ্যে মায়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল আমদানি করা হবে। ভিয়েতনাম থেকেও চাল আমদানি করবো। এ ছাড়া থাইল্যান্ড, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সরাসরি ওই দেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে চাল আমদানি করা হবে।’

ভারত থেকে চাল আমদানির খরচ তুলনামূলক কম হয়, অন্য দেশ থেকে চাল আমদানির ক্ষেত্রে ব্যয় বাড়বে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘আমরা বাণিজ্যকে রাজনীতির সঙ্গে মিলিয়ে ফেলি না। ভারত থেকে চাল কিনলে তুলনামূলকভাবে খরচ কম পড়বে। এজন্য দেড় লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া আছে। আমরা আশা করি সে চাল দ্রুত আসবে।’

গম উৎপাদন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দেশে ৭০ লাখ টন গমের চাহিদা রয়েছে। আমরা উৎপাদন করতে পারি মাত্র ১০ লাখ মেট্রিক টন। এর বেশি উৎপাদন আমাদের পক্ষে কঠিন হচ্ছে। গম চাষের জমিগুলোতে এখন ভুট্টা চাষ হচ্ছে। অধিকাংশ গম বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। বেসরকারি খাত আমদানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’

এ সময় তার সঙ্গে খাদ্য বিভাগের মহাপরিচালক আব্দুল খালেক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাইফুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শ্যামল চন্দ্র বসাকসহ খাদ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয়