মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এ নিয়োগ করা প্রশাসকের কার্যক্রমের ওপর দুই সপ্তাহের স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন। আদালতে শুনানিতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুহাম্মদ নওশাদ জমির ও আবুল কালাম খান দাউদ। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম শুনানি করেন।
এ বিষয়ে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) আইনজীবী আবুল কালাম খান দাউদ সাংবাদিকদের বলেন, ২ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগ দেওয়া প্রশাসক এবং তার সহযোগী অথবা ব্যবস্থাপনা বোর্ড নগদের ব্যবসা পরিচালনা-সংক্রান্ত স্বাভাবিক কার্যক্রম ছাড়া নতুন কোনো কার্যক্রম বা পদক্ষেপ নিতে পারবে না।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা বদলে দেওয়ার ধারাবাহিকতায় গত ২১ আগস্ট আগামী এক বছরের জন্য ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন সেবা ‘নগদে’ প্রশাসক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পান বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিসে কর্মরত পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক পদমর্যাদার এ প্রশাসককে সহায়তার জন্য নগদ ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসে আরও ছয় কর্মকর্তাকে নিয়োগ করা হয়। এদিন নগদের আগের পর্ষদও ভেঙে দেওয়া হয়। পরে এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে নগদের নির্বাহী পরিচালক সাফায়েত আলম রিট আবেদন করেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে ‘নগদ’-এ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক নিয়োগ কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় রুলের শুনানিতে বুধবার স্থিতাবস্থার আদেশ দেন হাইকোর্ট।
মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করে নগদ। পরে এই এমএফএস কোম্পানিকে ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হয়। নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের পাঁচ বিদেশি উদ্যোক্তার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চাওয়ার দু’দিনের মাথায় প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।