এস আলম গ্রুপের নয়টি কারখানায় বন্ধ থাকার এক সপ্তাহ পর আবার কাজ শুরু হয়েছে। বছরের প্রথম দিন বুধবার (১ জানুয়ারি) থেকে কারখানাগুলো খুলে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গ্রুপের উপব্যবস্থাপক আশীষ কুমার নাথ।
তিনি বলেন, ‘বছরের প্রথম দিন আজ বুধবার থেকে এসব কারখানা খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সকাল থেকে কাজ শুরু হয়েছে কারখানাগুলোতে।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বোরহান উদ্দিন আরেক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ‘ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে ২৪ ডিসেম্বর জারি করা কারখানা বন্ধের নোটিশ প্রত্যাহার করা হলো। ১ জানুয়ারি থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে।’
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের আমলে সুবিধাভোগী ব্যবসায়িক গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে গ্রুপটি ইসলামী ব্যাংক দখল করে নেয়। তারপর ব্যাংকটি থেকে এস আলম গ্রুপ ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ বের করে নেয়। ইসলামী ব্যাংক ছাড়া আরও কয়েকটি ব্যাংক দখল করে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ টাকা বের করে নেয় গ্রুপটি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এসব ব্যাংককে এস আলমমুক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নিয়ে ১ হাজার ৯২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত সপ্তাহে সাইফুল আলমের (এস আলম) ছেলে আহসানুল আলমসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে গ্রুপের মানবসম্পদ ও প্রশাসনের প্রধান মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিনের সই করা নোটিশে বলা হয়, কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে অনিবার্য কারণবশত পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কারখানাগুলো বন্ধ থাকবে। তবে কারখানার নিরাপত্তা, সরবরাহ ও জরুরি বিভাগ খোলা থাকবে।
নোটিশ দেখে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ করেন কারখানা শ্রমিকেরা। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হলে আবারো কারখানা চালু হওয়ার আশ্বাস দেন কর্মকর্তারা।