২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে ফ্রিজার, রেফ্রিজারেটর, মোটরসাইকেল, এয়ার কন্ডিশনার (এসি) ও কম্প্রেসার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর করপোরেট আয়কর ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বুধবার জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে কর কর্তৃপক্ষ বলেছে, এসব ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি ও মোটরসাইকেল উৎপাদনকারীদের ২০৩২ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ জুন পর্যন্ত সংশোধিত হারে কর পরিশোধ করতে হবে।
সরকার যখন রাজস্ব আদায় বাড়ানো, রাজস্ব সক্ষমতা বাড়ানো এবং ব্যয় নির্বাহের জন্য দেশি-বিদেশি উৎস থেকে ঋণের ওপর নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা করছে তখন এ সিদ্ধান্ত এলো।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের যে ঋণের শর্ত দিয়েছিল, এনবিআরের এই সিদ্ধান্ত সেই শর্তের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
যার মধ্যে রয়েছে- শিল্প প্রতিষ্ঠানটি কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ এর অধীন নিবন্ধিত হতে হবে। শিল্প প্রতিষ্ঠানটিকে আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ৭৬ এর উপ-ধারা (৫) এবং (৬) সহ অন্যান্য বিধানাবলি পরিপালন করতে হবে। শিল্প প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব মোল্ড ও ডাইস তৈরির ক্ষমতা থাকতে হবে। শিল্প প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব পলি ইউরিথিন ফোমিং প্ল্যান, পাউডার কোটিং প্ল্যান্ট এবং সক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট এর ব্যবস্থা থাকতে হবে।
এছাড়াও শিল্প প্রতিষ্ঠানটি এনবিআরের অনুমোদিত হতে হবে এবং বিদ্যমান ব্যবসার পুনর্গঠন বা এইরূপ ব্যবসা বিভাজন দ্বারা গঠিত শিল্প প্রতিষ্ঠান অথবা বাংলাদেশে বিদ্যমান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মেশিনারি অথবা স্থাপনা হস্তান্তরের মাধ্যমে গঠিত কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান হতে পারবে না।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী অব্যাহতিপ্রাপ্ত কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান শর্ত পরিপালনে ব্যর্থ হলে এনবিআর প্রদত্ত অনুমোদন প্রত্যাহার করতে পারবে।
খুচরা যন্ত্রাংশসহ পূর্ণ ফ্রিজ, রেফ্রিজারেটর, মোটরসাইকেল, এয়ার কন্ডিশনার ও কম্প্রেসার তৈরির প্রতিষ্ঠানকে করছাড় দিয়ে ২০২১খ্রিষ্টাব্দের ১৯ অক্টোবর এনবিআর থেকে আদেশ জারি করা হয়। যাতে শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে ২০৩২ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ জুন পর্যন্ত কর হ্রাস করে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। উৎপাদনের তারিখ হতে এসব প্রতিষ্ঠান তাদের আয়ের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হতো। এর আগে ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এসব খাতকে করছাড় দিয়ে আসছে এনবিআর। সে সময় ৫ শতাংশ হারে কর দিতো হতো।