অকাল বন্যার কারণে আমনের উৎপাদন কম হয়েছে। গত বছর বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা লাগেনি। কিন্তু এবার বন্যার কারণে আমদানি করতে হচ্ছে। তাও শুল্ক, কর প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ভরা মৌসুমেও চালের দাম বেশি স্বীকার করে তিনি বলেন, মজুদদার সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৮ আগস্ট এই সরকার যখন দায়িত্ব নেয় তখন বিধ্বস্ত প্রশাসন ছিলো। এটাকে সেটে আনতে সময় লাগছে।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে সিস্টেমে দলীয়করণ হয়েছে। এখন অনেকেই এটাকে দাবি আদায়ের মৌসুম হিসেবে মনে করছেন। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে মজুদ বিরোধী আইন প্রয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, আড়াই লাখ টন আন্তঃ উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এবং মিয়ানমার থেকে জিটুজি এর মাধ্যমে ১ লাখ টন চাল আমদানি চূড়ান্ত হয়েছে। ৫০ হাজার টন পাকিস্তান থেকে আমদানি করতে আলোচনা চলছে। এ মাসে মোট ১ লাখ ৭৫ হাজার টন চাল আসবে। মিয়ানমার থেকে ১ লাখ টন চাল জিটুজি এর এবং উন্মুক্তভাবে ৭৫ হাজার টন চাল আসবে।
তিনি আরো জানান, ভারত থেকে জিটুজি এর মাধ্যমে চাল আমদানির আলোচনা হচ্ছে। আমদানি করা চাল আসলে এ মাসে দাম কমবে বলে আশা করছি।
উপদেষ্টা বলেন, সরকারি গুদামে যখন মজুদ বাড়ে। তখন ওএমস সহ্য সক্ষমতা বাড়ে বাজারে চাপ কমে। আশা করি দাম কমবে। চাল আমদানির শুল্ক, কর বাদ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রশাসনে রাজনীতি থাকায় অনেকে গাঁ ঢাকা দিয়েছিলো। সেটে আনতে সময় লাগে। জানুয়ারিতে অন্তত সোয়া লাখ মেট্রিক টন চাল এবং ৫০ হাজার টন গম আসবে।
প্রশাসনের অসহযোগিতা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংকট আসবে, মোকাবিলার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। গত ১৫ বছরে সিস্টেমের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দলীয়করণের ছাপ পরে গিয়েছিলো। জনপ্রশাসন যেভাবে আগাচ্ছে ঠিক হয়ে যাবে।
দাবি আদায়ের মৌসুম বলা হচ্ছে, প্রশ্নের জবাবে অনেকেই সুযোগ নিচ্ছে। কিন্তু বললেই সব দাবি মানা হচ্ছে না। পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জিং কিন্তু উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। ১২ লাখ টনের বেশি চাল গমের মজুদ আছে। সরকারি মজুদ কমফোর্টেবল। ৮ লাখ টনের বেশি চাল আছে।