![লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত ৯৩ কোটি টাকা রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত ৯৩ কোটি টাকা রাজস্ব](https://www.amaderbarta.net/media/imgAll/2023November/Untitled-1-2502040422.jpg)
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯৩ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় করেছে ভোমরা স্থলবন্দরটি। জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত শুল্ক আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৮১ কোটি। আদায় হয়েছে ৬৭৪ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯৩ কোটি টাকা বেশি। সংশ্লিষ্টদের মতে, বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ আরও কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেত। ভোমরা কাস্টম অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছরের (২৯ আগস্ট) গুঁড়া দুধ ছাড়া সব ধরনের পণ্য আমদানির অনুমতি দেওয়ায় বন্দরটির কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেনাপোল স্থলবন্দরের মতো সব ধরনের পণ্য আমদানির অনুমতি দেওয়ায় রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। ব্যবসায়ী দীপঙ্কর ঘোষ বলেন, ভোমরা বন্দরের রাজস্ব বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ আমদানি অনেক বেড়েছে। আগে ৭২টি পণ্য আমদানি হতো, এখন গুঁড়া দুধ ছাড়া সব ধরনের পণ্য আমদানি হচ্ছে। এ ছাড়া পার্কিং ইয়ার্ড চালু হওয়ায় যানজট কমেছে, ফলে ব্যবসায়ীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবসা করতে পারছেন।
তবে ব্যবসা-বাণিজ্যের আরও সম্প্রসারণে অবকাঠামোগত উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ আব্দুল গফুর। তিনি বলেন, তবে অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে বন্দরের পূর্ণ সম্ভাবনা এখনো কাজে লাগানো যাচ্ছে না।
বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ভোমরা স্থলবন্দরের সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। এ বিষয়ে ভোমরা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক রুহুল আমিন বলেন, ভোমরা স্থলবন্দরকে একটি পূর্ণাঙ্গ কাস্টম হাউস হিসেবে গড়ে তোলার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত (২৯ আগস্ট) এনবিআর থেকে সব পণ্য আমদানির অনুমোদন পাওয়ার পর বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১০ একর জমি অধিগ্রহণ ও বালু ভরাট সম্পন্ন হয়েছে। আরও ৫৭ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। এসব জায়গায় উন্নতমানের ওয়্যারহাউস, আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনাল, পার্কিং ইয়ার্ড ও ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড নির্মাণ করা হবে। ফলে আমদানি-রপ্তানি ও রাজস্ব আয় আরও বৃদ্ধি পাবে।