
চলতি বছরের শুরুতে ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারে বিপুল আশাবাদ দেখা গেলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে দরপতনের মুখে পড়েছে ভার্চুয়াল এই মুদ্রা। জনপ্রিয় মুদ্রা বিটকয়েন, ইথার কিংবা বাইন্যান্সের ধারবাহিক দরপতনে শঙ্কার মুখে এই বাজারের বিনিয়োগকারীরা। মার্কিন বাজার গবেষণা সংস্থা-ট্রেডিং ইকোনোমিকসের পূর্বাভাস বলছে, বছরের শেষ প্রান্তিকে নিম্নমুখী থাকবে এসব মুদ্রার দাম।
লাগাতার পতনের মুখে ক্রিপ্টোবাজারের সবচেয়ে জনপ্রিয় মুদ্রা বিটকয়েন। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে এটি বিক্রি হয়েছে ৯৭ হাজার ৩০৭ ডলারে। যা সপ্তাহ ব্যবধানে ৭ শতাংশের বেশি কমেছে। এমন ধারাবাহিকতায় বছরের প্রথম প্রান্তিকে বিটকয়েনের দাম ৯৭ হাজার ৯৫ ডলারে নামার পর শেষ প্রান্তিকে দাঁড়াতে পারে ৮৪ হাজার ৬৪৪ ডলারে। তবে বুধবারের তুলনায় এই মুদ্রার দাম বেড়েছে ৭১৮ ডলার।
একই পথে আছে আরেক জনপ্রিয় ভার্চুয়াল মুদ্রা ইথারের দাম। এদিন প্রতিটি ইথার বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৮১১ ডলারে। সপ্তাহ ব্যবধানে যা ১৩ দশমিক ছয় সাত শতাংশ কম। মার্কিন বাজার গবেষণা সংস্থা ট্রেডিং ইকোনোমিকসের পূর্বাভাস বলছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ৩ হাজার ৫০ ডলারে নামার পর শেষ প্রান্তিকে বেচাকেনা হতে পারে ২ হাজার ৫৬১ ডলারে।
ক্রিপ্টো জগতে জনপ্রিয়তার মুখে থাকা বাইন্যান্সেরও দাম কমবে চলতি বছরজুড়েই। এমন আভাস মিলেছে ট্রেডিং ইকোনোমিকসের তথ্যে। বর্তমানে মুদ্রাটি বিক্রি হচ্ছে ৫৭৫ ডলারে। এরপর প্রতি প্রান্তিকেই দাম কমে বছর শেষে দাঁড়াতে পারে ৫৪৫ ডলারে।
এদিকে, ২০০ ডলারে বিক্রি হয়েছে ক্রিপ্টোবাজারের অন্যতম পরিচিত মুদ্রা সোলানা। এক দিনের ব্যবধানে ২ দশমিক ১৪ শতাংশ দাম বাড়লেও পূর্বাভাস বলছে নিম্নমুখী হবে এর দাম। বছরের শেষ প্রান্তিকে ১৬৭ ডলারে নামতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর বছরের শুরুতে দাম বেড়েছিল ক্রিপ্টোকারেন্সির। তবে দায়িত্ব নেয়ার পর ধারাবাহিক দর পতনের মুখে পড়েছে ভার্চুয়াল মুদ্রার বাজার।