দেশের সব সরকারি হাইস্কুল এবং মহানগরী ও জেলা সদরের বেসরকারি হাইস্কুলগুলোতে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে আগামী ২৪ অক্টোবর। এবার সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে লটারির মাধ্যমে নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে স্কুল থেকে কোনো ভর্তি ফরম বিতরণ করা হবে না। ভর্তির আবেদন শুধুমাত্র অনলাইনে (https://gsa.teletalk.com.bd) গ্রহণ করা হবে।
জানা গেছে, ২৪ অক্টোবর সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে ১৪ নভেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলমান থাকবে। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদন ফি ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা শুধুমাত্র টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল থেকে এসএমএসের মাধ্যমে প্রদান করা যাবে।
সরকারি হাইস্কুলে ভর্তির আবেদন :
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারাদেশে আবেদনকারীরা সরকারি হাইস্কুলে ভর্তির আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে থানাভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ ৫টি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবেন। ডাবল শিফট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় বা শিফট দ্বিতীয়বার পছন্দ করা যাবে না। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠেয় ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়ার কার্যক্রমে সারাদেশের সব সরকারি ও সরকারিকৃত মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে লটারি ছাড়া অন্য কোনো পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে না। জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী ২০১৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ৬ বছরের বেশি নির্ধারিত হবে।
এছাড়া, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মচারীদের ভর্তির উপযুক্ত সন্তান সংখ্যার সমসংখ্যক আসন ওই প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত থাকবে। এক্ষেত্রে তাঁদের অনলাইনে আবেদন করার প্রয়োজন নেই। উল্লেখ্য, শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্মচারী সরকারি মাধ্যমিক বালক বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তাঁর ভর্তি উপযুক্ত সন্তান বালিকা হলে কাছের সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। একইভাবে শিক্ষক-শিক্ষিকা বা কর্মচারী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তাঁর ভর্তি উপযুক্ত সন্তান বালক হলে নিকটতম সরকারি বালক বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে।
সারাদেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে। অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ ও ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত নিয়মাবলী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ও টেলিটকের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
বেসরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন :
শিক্ষার্থীরা বেসরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে মহানগর পর্যায়ের জন্য বিভাগীয় সদরের মেট্রোপলিটন এলাকা এবং জেলার সদর, উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবেন। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবেন। উল্লেখ্য, ডাবল শিফট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয়বার পছন্দ করা যাবে না। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারির বাইরের প্রতিষ্ঠানসমূহকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত (ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী) ভর্তি কমিটির প্রতিনিধির উপস্থিতিতে লটারির আয়োজন করতে হবে। ডিজিটাল দৈবচয়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যতিত অন্য কোনো পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে না। এছাড়া জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ৬ বছরের বেশি হতে হবে।
এছাড়া, ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের মহানগরী পর্যায়ে বিভাগীয় সদরের মেট্রোপলিটন এলাকা ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায়ের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্থায়ীভাবে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকা বা কর্মচারী ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের (যদি থাকে) ভর্তির উপযুক্ত সন্তান সংখ্যার সমসংখ্যক আসন ওই প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত থাকবে। এক্ষেত্রে তাঁদের অনলাইনে আবেদন করার প্রয়োজন নেই। উল্লেখ্য, শিক্ষক-শিক্ষিকা বা কর্মচারী বেসরকারি মাধ্যমিক বালক বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তাঁর ভর্তি উপযুক্ত সন্তান বালিকা হলে নিকটতম বেসরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। একইভাবে শিক্ষক-শিক্ষিকা বা কর্মচারী বেসরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে কমরত থাকলে এবং তাঁর ভর্তি উপযুক্ত সন্তান বালক হলে নিকটতম বেসরকারি বালক বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে।