ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১১ পৌষ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

রাতে চলে পুকুর খনন, জানেন না প্রতিষ্ঠানের সুপার

শিক্ষা

আমাদের বার্তা, জয়পুরহাট

প্রকাশিত: ১৮:৫৫, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

সর্বশেষ

রাতে চলে পুকুর খনন, জানেন না প্রতিষ্ঠানের সুপার

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় একটি মাদনাসার অধীনে থাকা সরকারি খাস পুকুর পুনঃসংস্কার করার মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। রাতের আঁধারে ওই সরকারি পুকুর পুনঃখনন করার সময় অভিযান পরিচালনা করেছেন স্থানীয় প্রশাসন। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের ঝামুটপুরস্থল চাঁন্দাইর দারুল উলুম দ্বি-মুখী দাখিল মাদরাসা চত্বরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাত আরা তিথি। এ সময় কালাই থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওসমান গণি, আব্দুল জব্বারসহ সঙ্গীয় ফোর্স সহযোগিতা করেন।

অভিযানে মো. সোহেল (২৭) নামে এক মাটি ব্যবসায়ীর ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অন্য ছয়জনের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। 

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, জেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের ঝামুটপুর স্থল চাঁন্দাইর দারুল উলুম দ্বি-মুখী দাখিল মাদরাসার অধীনে ২৭ বিঘা সরকারি খাস পুকুর রয়েছে। ওই পুকুরের বেশিরভাগ অংশ সরকারি খাস। অবৈধভাবে রাতে সেখানে মাটি খনন করে অন্যত্র ইট ভাটায় মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ওই মাটি বিক্রি করা হচ্ছিলো। এমন সংবাদে রাতেই সেখানে গিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করেন। সে সময় ঘটনাস্থল থেকে এস্কেভেটর মেশিনের ব্যাটারি খুলে নেয়া হয় এবং দুটি ট্রাক জব্দ করা হয়। সাতজনকে আটক করা হয়। পরে একজন মাটি ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অন্য ছয়জনের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। 

জানতে চাইলে চাঁন্দাইর দারুল উলুম দ্বি-মুখী দাখিল মাদরসার সুপার হাফিজুর রহমান দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, রাতের আঁধারে এই পুকুর পুনঃসংস্কার করা হবে না বলে জানিয়েছিলাম। অনুমতি সাপেক্ষে পুনঃসংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়, কিন্তু তারা মানেননি। পরের বিষয়টি আমার জানা নেই। 

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাত আরা তিথি বলেন, রাতে অবৈধভাবে পুকুর সংস্কার করে অন্যত্র মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। সেখান থেকে সাতজনকে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে মূল অভিযুক্ত একজন মাটি ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অন্য ছয়জনের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

জনপ্রিয়