ঢাকা বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ , ১ মাঘ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

আসছে বছরের শুরুতেই শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ

শিক্ষা

রুম্মান তূর্য 

প্রকাশিত: ০০:০০, ২১ নভেম্বর ২০২৩

সর্বশেষ

আসছে বছরের শুরুতেই শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ

মাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক সংকট কাটানোর প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে আসছে বছরের শুরুতেই। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক পদে প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বলছে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘বড়’ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানোর পরিকল্পনা আছে। এর ফলে আরো দুই শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।  

প্রসঙ্গত, বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্ধলক্ষাধিক শিক্ষক পদ শূন্য রেখেই এ বছর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হয়েছে। এখন চলছে বার্ষিক মূল্যায়ন। আগামী বছর থেকে এ দুই শ্রেণির পাশাপাশি অষ্টম ও নবমের ক্লাসও নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী নিতে হবে। কিন্তু, শিক্ষক সংকটের কারণে নতুন শিক্ষাক্রমের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানরা উদ্বিগ্ন সময় পার করছেন। 

এনটিআরসিএ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে সর্বশেষ বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। চতুর্থ ধাপে শিক্ষক যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, ৬৮ হাজার পদ শূন্য। এমপিওপ্রাপ্য এসব এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশ করতে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এনটিআরসিএ। কিন্তু মাত্র সাড়ে ৩২ হাজার পদে প্রার্থী নির্বাচন করা যায়। যেখান থেকে মাত্র ২৭ হাজার নতুন শিক্ষককে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষাংশে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়। যাদের কেউ যোগ দিচ্ছেন, কেউবা দিচ্ছেন না। আর নতুন শিক্ষকরা সবাই যোগদান করলেও ৪১ হাজারের বেশি পদ শূন্যই থাকছে। এ সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে ২০২২ এর অক্টোবর থেকে ২০২৩ এর অক্টোবর পর্যন্ত অবসরজনিক কারণে শূন্য হওয়া পদের সংখ্যা যোগ করলে। সব মিলিয়ে এখন ৩৫ হাজার এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্ধলক্ষাধিক পদ শূন্য। এ সংখ্যা ৬০ হাজার বলেও ধারণা কারো কারো।

এনটিআরসিএর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল মাদরাসার ভৌতবিজ্ঞান, আইসিটি, জীববিজ্ঞান, চারুকলা বিষয়ের শিক্ষক পদ এ মুহূর্তে বেশি খালি। আর দাখিল মাদরাসার সহকারী মৌলভীর পদ ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড ইনসট্রাক্টরের পদ বেশি খালি। 

প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্বে থাকা এনটিআরসিএর শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান শাখার একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে এমপিওভুক্ত ৪১ হাজারের বেশি পদ শূন্য থেকে যাওয়ার কারণ যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া। বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের পূর্ব শর্ত শিক্ষক নিবন্ধন। ইতোমধ্যে শিক্ষক হতে যারা নিবন্ধিত আছেন তাদের বেশিরভাগই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করছেন। নিবন্ধিত কিছু প্রার্থী বেকার আছেন, যাদের বয়স ৩৫ বছরের বেশি হয়ে গেছে, তারা আর এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষক হওয়ার যোগ্য নন। তাই শিক্ষক সংকট কাটাতে নতুন করে প্রার্থী নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু প্রয়োজন। 

এনটিআরসিএর পরীক্ষা শাখার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নতুন প্রার্থী নিবন্ধনে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভা চলছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষে বা আগামী বছর জানুয়ারি মাসের শুরুতে এ নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আশা আছে। 

এনটিআরসিএর সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, আমাদের পরিকল্পনা আছে আগামী বছর শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার। এ জন্য শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহে ই-রেজিস্ট্রেশন ও শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া আমরা এ বছরের শেষেই শুরুর পরিকল্পনা করছি। আর ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হলে প্রার্থী পাওয়া যাবে। আগামী বছরের প্রথম দিকে নতুন নিয়োগ বা পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম শুরু হতে পারে। 

জনপ্রিয়