ঢাকা সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪ , ১৬ আষাঢ় ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অচলের শঙ্কা

শিক্ষা

আসাদুল ইসলাম 

প্রকাশিত: ০০:২০, ২৯ জুন ২০২৪

সর্বশেষ

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অচলের শঙ্কা

সর্বজনীন পেনশনের 'প্রত্যয়' স্কিম বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। আগামীকাল ৩০ জুনের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ১ জুলাই থেকে একযোগে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাবেন তারা। পাশাপাশি কর্মকর্তারা ৩০ জুন থেকে ও কর্মচারীরা ১ জুলাই থেকে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন।  এর ফলে আগামীকাল থেকেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অচলাবস্থা সৃষ্টির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

এর আগে গত ১৩ মার্চ একটি প্রজ্ঞাপনের জানানো হয়, সব স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা ও তাদের অধীন অঙ্গ-প্রতিষ্ঠানগুলোর চাকরিতে যেসব কর্মকর্তা বা কর্মচারী চলতি বছরের ১ জুলাই ও তার পরে নতুন যোগদান করবেন, তাদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনের অন্তর্ভুক্ত করবেসরকার। নতুন এ স্কিমের নাম দেয়া হয় ‘প্রত্যয়’। 

এর পর থেকেই এ স্কিম বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। আগামীকাল রোববার তারা পূর্ণদিবিস কর্মবিরতি পালন করবেন। যদিও এদিন পরীক্ষা থাকবে কর্মবিরতির আওতামুক্ত।  তবে  দাবি পূরন না হলে ১ জুন থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন শুরু করা হবে বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা। সর্বাত্মক কর্মসূচিতে তারা কোনো অ্যাকডেমিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রমে অংশ নেবেন না।  

শিক্ষকদের কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, আমরা ৩০ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করছি। যদি এর মধ্যে দাবি পূরণ না হয় তবে ওই দিন আমরা সংবাদ সম্মেলনে আমাদের পরবর্তি কর্মসূচি জানিয়ে দেবো। 

শিক্ষকদের পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশন জটের সৃষ্টির শঙ্কার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের হাতে আরো দু'দিন সময় রয়েছে। এর মধ্যে যদি আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয় বা সরকার আমাদের সাথে কোন ধরনের আলাপ-আলোচনা বা আশ্বাস দেয় তাহলে আমরা আমাদের কর্মবিরতি শিথিল করবো, তবে পুরো না।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতামুক্ত রাখার দাবিতে আগামীকাল রোববার থেকে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারাও। এদিন সকাল দশটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করবেন তারা। দাবি আদায় না হলে জুলাইয়ের ১, ২ ও ৩ তারিখে তারা পালন করবেন সর্বাত্মক কর্মবিরতি।  আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের মহাসচিব মো. আব্দুল কাদের (কাজী মনির) গতকাল শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

দৈনিক আমাদের বার্তাকে কাজী মনির জানান, দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা একযোগে এ কর্মবিরতি পালন করবেন। 

এদিকে সর্বজনীন পেনশনের 'প্রত্যয়' স্কিম বাতিল ও ইউজিসির প্রণীত অভিন্ন নীতিমালা বাতিলের দাবিতে ১ জুলাই থেকে আন্দলনে যাচ্ছেন সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরাও। দাবি আদায়ের জন্য ১ জুলাই থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন কবেন তারা। বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক বি.এম. আশিকুর রহমান সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দীন খন্দকার দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, বৈষোম্যমূলক পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে আমরা ১ জুলাই থেকে টানা তিন দিন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করব। এর সাথে আমাদের আর একটি দাবি হলো- ইউজিসি যে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে তা বাতিল করতে হবে। দাবি আদায় না হলে আমরা লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা দেবো। 

জনপ্রিয়