ঢাকা বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪ , ১৮ আষাঢ় ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ জাবি শিক্ষার্থীদের

শিক্ষা

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:০৬, ১ জুলাই ২০২৪

সর্বশেষ

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ জাবি শিক্ষার্থীদের

সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে ছাত্র সমাবেশ ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, অমর একুশে হয়ে প্রধান ফটকের সামনে এসে শেষ হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন  ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক পাঁচ মিনিট প্রতীকী অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় তাদের ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ‘একাত্তরের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সারাবাংলায় খবর দে, কোটাপ্রথার কবর দে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

ছাত্র সমাবেশে বক্তারা তিন দফা দাবি জানান। তাদের দাবিগুলোর হলো- ১৮ খ্রিষ্টাব্দের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল সরকারি চাকরিতে (১ম থেকে ৪র্থ শ্রেণি) সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কোটা রেখে ‘কোটা সংস্কার’ করা; কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া; দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করা।

ছাত্র সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, কোটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে যারা কথা বলছে তাদের বলা হচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে কোটা থাকবে না বলে ঘোষণা করেন। আমরা এখন ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের সেই সিদ্ধান্ত বহালের বিষয়ে কথা বলছি। আমরা স্বাধীনতাবিরোধী নয়, বরং যারা কোটার পক্ষে কথা বলে তারাই স্বাধীনতাবিরোধী। একাত্তরে বৈষম্য দূর করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। বৈষম্য দূর করার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানের জন্য কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল করা হয়েছে। আমরা এ কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।

ছাত্র সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

জনপ্রিয়