সর্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের দাবিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টানা চতুর্থ দিনের কর্মবিরতিতে অচল হয়ে পড়েছে সারা দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। এদিনও ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে সারা দেশের ৩৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ।
দৈনিক আমাদের বার্তা প্রতিনিধি জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ছিলো। প্রশাসনিক ভবনের দাপ্তরিক কার্যক্রমও হয়নি। এ কর্মবিরতির সমর্থনে এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা
এদিকে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা আগের মতো কর্মবিরতি পালন করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, আমি ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে শিক্ষকতার পেশায় যুক্ত আছি। আমাদের শিক্ষকেরা ঐক্যবদ্ধ। কখনোই এমনভাবে শিক্ষকদের এতোটা ঐক্যবদ্ধ হতে দেখিনি। প্রত্যেক শিক্ষকেরাই নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ব নিয়ে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মমিন উদ্দিন বলেন, আমরা শ্রেণিকক্ষে দ্রুতই ফিরতে চাই। আমাদের কাজ আন্দোলন করা নয়। কিন্তু অধিকার আদায়ে টানা আন্দোলনে বাধ্য হচ্ছি। অবিলম্বে প্রত্যয় স্কিম বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন করতে হবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান ও জ্যেষ্ঠ শিক্ষকেরা বক্তব্য দেন। বক্তব্যে ‘প্রত্যয়’ স্কিম প্রত্যাহার ছাড়াও শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন এবং সুপারগ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির আরো দুটি দাবি জানান তারা।
এদিকে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনিক আমাদের বার্তার প্রতিনিধিরা একই ধরনের কর্মসূচির সংবাদ পাঠিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ একটি প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সব স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা ও তাদের অধীন অঙ্গ-প্রতিষ্ঠানগুলোর চাকরিতে যেসব কর্মকর্তা বা কর্মচারী চলতি বছরের ১ জুলাই ও তার পরে নতুন যোগদান করবেন, তাদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনের অন্তর্ভুক্ত করবে সরকার।