টেলিফোন করে শিক্ষকদের স্কুল ও মাদরাসায় যেতে বলেছেন ঝালকাঠি ও নলছিটির জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক এবং প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা। আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন শিক্ষকরা। নাম না প্রকাশের শর্তে তারা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। অবশ্য অভিযোগ যাচাই করলে পাওয়া যায় ভিন্ন তথ্য। ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার নলছিটি বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফয়রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ফয়রা আলিম মাদরাসার কয়েকজন শিক্ষক দৈনিক আমাদের বার্তার কাছে অভিযোগ করেছেন। তারা বলেছেন, কাউফিউয়ের মধ্যে শিক্ষা অফিসের কর্তারা মৌখিকভাবে শিক্ষকদেরকে স্কুলে যেতে বলেছেন। একইভাবে ঝালকাঠি সদরের গাভা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি মাদরাসা ও স্কুলের শিক্ষক নাম না প্রকাশের শর্তে একই অভিযোগ করেছেন।
তবে, অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে পাওয়া গেছে ভিন্ন কথা। ঝালকাঠি ও নলছিটির শিক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন, টানা বন্ধের কারণে প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবন, বিজ্ঞানাগার, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, আসবাবপত্র, টিভি-ফ্যান, লাইব্রেরির বইসহ বিভিন্ন ধরনের মালামালের কোনো ক্ষতি হলো কি-না। তাছাড়া অনেক সাবেক শিক্ষার্থীর জরুরিভিত্তিতে প্রশংসাপত্র, জন্ম নিবন্ধন সনদের ভুল সংশোধনে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সই, সনদ হারিয়ে গেলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সত্যায়ন ইত্যাদি দরকার হয়। এসব কারণেই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের খোঁজখবর রাখতে বলা হয়েছিলো। কিন্তু তারা বিষয়টি নেতিবাচকভাবে নিয়েছেন।