আটকের চার ঘণ্টা পর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ সমন্বয়কসহ ১২ শিক্ষার্থীকে মুক্তি দেয় পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার (১লা আগস্ট) সকালে ক্যাম্পাসের সামনে থেকে আটক করা হয় তাদের। তবে পুলিশের দাবি আটক নয়, নিরাপত্তার স্বার্থে হেফাজতে নেয়া হয়েছিলো তাদের।
সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষকদের সমন্বয়ে দেশব্যাপী ছাত্র হত্যা এবং শিক্ষক লাঞ্চনার প্রতিবাদে ছাত্র শিক্ষক সংহতির আয়োজন করা হয়েছিলো। এতে যোগ দিচ্ছিলেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে তাদের আটক করে স্থানীয় থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গেছে। একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে একই স্থানে শোক সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিলো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আবদুল কাইয়ুম বলেন, সকালে একই সময় একই স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের কর্মসূচি ছিলো। যেহেতু বর্তমানে সব সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ তাই দুই পক্ষকেই ক্যাম্পাসে জড়ো না হতে অনুরোধ করা হয়। তবে দুপুরে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে শোনার পর আমরা শিক্ষকরা থানায় গিয়ে তাদেরকে নিজ নিয়ে আসি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি না থাকলেও ছাত্রলীগ নেতা দাবি করা গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান বলেন, আগস্ট জাতীয় শোকের মাস। এ মাসের প্রথম প্রহরে ১৫ আগস্ট শহীদদের স্মরণে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে সমাবেশের আয়োজন করি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের জরো হতে নিষেধ করলে আমরা মিছিল করে ক্যাম্পাস ত্যাগ করি।
সার্বিক বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ আর মুকুল জানান, বর্তমানে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ হলেও একই সময়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেয় দুই পক্ষ। সেজন্য ১২ জন শিক্ষার্থীকে সকালে হেফাজতে নিয়েছিলাম। পরে শিক্ষকদের জিম্মায় তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।