ঢাকা সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৩১ ভাদ্র ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

অধ্যক্ষকে হা*তুড়িপে*টা করে পদত্যাগপত্রে সই নেওয়ার ঘটনায় মামলা

শিক্ষা

আমাদের বার্তা, ফরিদপুর

প্রকাশিত: ১৬:২৯, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১৬:৩০, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সর্বশেষ

অধ্যক্ষকে হা*তুড়িপে*টা করে পদত্যাগপত্রে সই নেওয়ার ঘটনায় মামলা

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে কলেজ অধ্যক্ষের কাছ থেকে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে যদুন্দী নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমান বাদী হয়ে সালথা থানায় মামলাটি করেন বলে জানিয়েছেন থানার ওসি মোহাম্মাদ ফায়েজুর রহমান।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে কলেজের পাশের বাসিন্দা যদুনন্দী এলাকার কাইয়ুম মোল্যাকে। এ ছাড়া স্থানীয় কামরুল গাজী, লালন, মনির ও মিয়াসহ ৯ জনকে আসামি হয়েছেন।

তবে এ মামলায় কলেজের কোনো শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়নি।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান ও তার ছেলে কলেজে প্রবেশ করার সময় তাদের জোর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে একটি বাগানের ভেতর নিয়ে যায় কয়েকজন দুষ্কৃতকারী ও কয়েকজন ছাত্র।

এ সময় তাদের বাবা-ছেলেকে হাতুড়ি গিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে অধ্যক্ষের কাছ থেকে জোর করে পদত্যাপত্রে স্বাক্ষর নেওয়া হয়।

পরে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার একটি ভিডিয়ো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। 

এ ঘটনায় মামলার পর শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ওবায়দুর রহমান বলেন, আমাকে হাতুড়িপেটা করে আমার কাছ থেকে পদত্যাগপত্রে সই নেয় কিছু বহিরাগত সন্ত্রাসী। এতে নেতৃত্ব দেয় কাইয়ুম মোল্যা, কামরুল গাজী ও তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী। আমি ইচ্ছা করে পদত্যাগপত্রে সই করিনি। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিতে তাদের নামে মামলা করেছি। আশা করি ন্যায়বিচার পাবো।

অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমান

ছাত্রদের মামলায় আসামি না করার বিষয়ে তিনি বলেন, ছাত্রদের দোষ নেই এখানে। ছাত্রদের ব্যবহার করেছে ওই নেতারা। তাই ছাত্রদের আমি হয়রানি করতে চাই না।

মামলার প্রধান আসামি কাইয়ুম মোল্যা বলেন, এলাকায় আমি একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেই। আরেকটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন যদুনন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রব মোল্যা। দেখা যায়, আমার গ্রুপের শিক্ষার্থীরা কলেজে অবহেলিত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশ দিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হয়রানি করেছেন অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান। যে কারণে তার পদত্যাগের জন্য শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে, মানববন্ধন করেছে।

অধ্যক্ষের পদত্যাগে কোনোভাবেই জড়িত নন দাবি করে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে অধ্যক্ষ পদত্যাগ করেছেন।

ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল-নগরকান্দা) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, ঘটনার পর আমি কলেজে গিয়েছিলাম। সব বিষয় খোঁজখবর নিয়েছি। অধ্যক্ষের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হবে।

ওসি ফায়েজুর রহমান বলেন, মামলাটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয়