ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৩ আশ্বিন ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

প্রাথমিক শিক্ষায় বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সবকিছু করা হবে - গণশিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষা

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:০৬, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সর্বশেষ

প্রাথমিক শিক্ষায় বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সবকিছু করা হবে - গণশিক্ষা উপদেষ্টা

 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, বন্যাদুর্গত এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সবকিছু করা হবে।( ১৫ সেপ্টেম্বর) রোববার সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী সদর উপজেলার কয়েকটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণকালে এ কথা বলেন। 

 

এ সময় তিনি সদর উপজেলার কাজিরবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফুলগাজী উপজেলার বন্দুয়া দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই, খাতা, কলম ও ব্যাগ বিতরণ করেন।
 
এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, জেলা প্রশাসক মুছাম্মাৎ শাহিনা আক্তার, পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক ড. শফিকুল ইসলাম, ফেনী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বন্যা দুর্গত এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকল ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন সবকিছু করা হবে। 

প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে সব ধরনের সহায়তা করা হবে। বন্যার বিপর্যয় কাটিয়ে উঠেছেন। বাস্তব অবস্থা দেখার জন্য আমরা এসেছি। নতুন বই, খাতা, কলম ও ব্যাগ দিচ্ছি। শিক্ষার্থীদের মনোযোগ সহকারে লেখাপড়া করতে হবে। অনেকদিন পড়াশোনায় গ্যাপ হয়েছে। এ গ্যাপ পুষিয়ে নিতে হবে।

উপদেষ্টা পরে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামস্থ চান্দকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে বই, খাতা, কলম ও ব্যাগ বিতরণ করেন। 
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক আকস্মিক বন্যায় দেশের, দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় ১১টি জেলায় প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী ২ হাজার ৭৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য দ্রব্যাদি এবং বই-পুস্তক ক্ষতিগ্রসস্ত হয়েছে। 

এসব বিদ্যালয়ের সংস্কার কার্যক্রমের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন হবে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা। এগুলো ছাড়াও জেলাভিত্তিক আউট অফ স্কুল চিলড্রেন শিক্ষা কার্যক্রমের শিখন কেন্দ্রগুলোর নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী ও লক্ষীপুর জেলার ১৮টি উপজেলার ৯৪৬টি শিক্ষণকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ফেনী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং মৌলভীবাজারের ১ হাজার ৩২১টি বিদ্যালয়ের ১ লাখ ১৫ হাজার ৮২৩টি পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলোর অধিকাংশ পাঠ্যপুস্তক সমন্বয় করা হয়েছে। বাকিগুলোর সমন্বয়ের কাজ চলমান রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের পোশাক ও ব্যাগের সমন্বয়ের কাজ চলমান রয়েছে।

জনপ্রিয়